সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁকে ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামিকে গুজরাট সরকারের (Gujarat Government) আগাম মুক্তির বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মামলা করেছিলেন বিলকিস বানো (Bilkis Bano)। ওই মামলায় কেন্দ্র ও গুজরাট সরকারের জবাবদিহি চেয়ে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, আসামিদের অপরাধ ছিল ‘ভয়াবহ’ ঘটনা। ১৮ এপ্রিল এই মামলা শুনানি হবে।
বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিভি নাগারত্না বেঞ্চ কেন্দ্র এবং গুজরাট সরকারকে আসামিদের আগাম মুক্তির বিষয়ক যাবতীয় নথি আদালতে উপস্থাপন করতে বলেছে। গত আগস্টে কেন্দ্রের নির্দেশে ধর্ষণ ও খুনে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে আগাম মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মোট ৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা। বাকি একটি মামলা করেছেন খোদ বিলকিস।
[আরও পড়ুন: জাল অ্যাকাউন্ট মামলার শুনানি শীর্ষ আদালতে, সুপ্রিম নির্দেশে অস্বস্তিতে ব্যাংকগুলি]
সোমবার এই মামলার শুনানির জন্য বিচারপতিদের নতুন বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এর আগে শীর্ষ আদালতের এক বিচারপতি বিলকিস মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। নতুন বিচারপতিদের বেঞ্চ মামলা গ্রহণ করেই কেন্দ্র এবং গুজরাট সরকারের কাছে আসামিদের মুক্তির বিষয়ে জবাবদিহি চেয়ে নোটিস পাঠাল।
[আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, তিহাড় জেল হাসপাতালে ভরতি অনুব্রত মণ্ডল]
২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে অন্ত্বসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট গুজরাট সরকারের নির্দেশে ধর্ষকদের অকাল মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের কার্যত বীরের সম্মান দিয়ে বরণ করা হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে। এরপর দেশজুড়ে অসন্তোষের হাওয়া বইতে শুরু করে। গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন বিলকিস বানো।গত ডিসেম্বরে তাঁর মামলা খারিজ হলেও এবার নতুন করে শুনানির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।