সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) ধর্ষকদের মুক্তি নিয়ে উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। এমন নৃশংস অপরাধের সঙ্গে যুক্তদের মুক্তি কেন? এ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই মুক্তি আদৌ আইন মেনে হয়েছে কিনা, তা গুজরাট (Gujarat) সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এবার ধর্ষকদের এক আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা দাবি করলেন, ওই বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আগে কেন্দ্রের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিল গুজরাট সরকার। একটি ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে হওয়া আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ঋষি। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য়ই করা হয়নি। এদিনের আলোচনায় সেই বিষয়টিই উঠে আসে। মালহোত্রার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই ধরনের কোনও পদক্ষেপের আগে রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। অনুমতি পেয়ে গেলে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: চার অর্থবর্ষে রাজ্যের দেনা কমেছে ৩ শতাংশ! ঋণের বোঝা কমিয়ে ভারতসেরা বাংলা]
এপ্রসঙ্গে মালহোত্রা বলেন, ”অবশ্যই নেওয়া হয়েছিল। দয়া করে আমার বিবৃতি রেকর্ড করে রাখুন। আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে এই বিবৃতি দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আইন মেনে অনুমতি নিয়েছিল রাজ্য সরকার।” এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই আলোচনাসভার কথা প্রকাশ্যে আসার পরও কেন্দ্রের কোনও মুখপাত্রের তরফেই কোনও মন্তব্য় করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে সাবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় গোটা গুজরাট জুড়ে। সেই সময়েই ২১ বছর বয়সি তরুণী বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনার সময়ে গর্ভবতী ছিলেন বিলকিস। দাঙ্গার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর তিন সন্তানকেও খুন করা হয়। ২০০৮ সালে এগারোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। তাদের মধ্যে ছিলেন দু’জন চিকিৎসক, যারা প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল। একই অপরাধে কয়েকজন পুলিশকর্মীকেও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মেয়াদ ফুরনোর আগেই তাদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। যা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।