সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার মধ্যেই গান্ধী পরিবারকে বড় ধাক্কা কেন্দ্রের। বাতিল করে দেওয়া হল গান্ধী পরিবার পরিচালিত রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন ও রাজীব গান্ধী চ্যারিটিবল ট্রাস্টের FCRA লাইসেন্স। অভিযোগ, ইউপিএ আমলে বেআইনিভাবে বিদেশি সংস্থার কাছে অনুদান নিয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামে তৈরি এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। FCRA লাইসেন্স বাতিল হওয়ার অর্থ, আর কোনও বিদেশি সংস্থার থেকে অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন এবং রাজীব গান্ধী চ্যারিটিবল ট্রাস্ট।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, ফরেন কন্ট্রিবিউশন অ্যান্ড রেগুলেশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে। ২০২০ সালে এই সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে অনুদান নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত করতে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা ছিলেন। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই রাজীব গান্ধীর নামে তৈরি দুটি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আগামী জুনেই ফের চন্দ্রাভিযান ভারতের! প্রস্তুত চন্দ্রযান-৩, জানিয়ে দিল ইসরো]
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে যখন ভারত-চিন সম্প্রকের টানাপড়েন চরমে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা তখনই দাবি করেন, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন (Rajiv Gandhi Foundation) ২০০৫-২০০৬ সালে চিন থেকে ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার অনুদান পেয়েছে। ওই টাকা পাওয়ার পরই ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন। এখানেই শেষ নয়। ওই সময়ই বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র (Sambit Patra) অভিযোগ করেন, জাকির নায়েকের যে ইসলামিক রিসার্চ অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে, সেই সংস্থাটিই ২০১১ সালের ৮ জুলাই রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে অনুদান করেছে। টাকার অঙ্কটা ৫০ লক্ষ। সব মিলিয়ে একাধিক সংস্থার কাছে বেআইনিভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: ওমিক্রনের বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্টের দাপট কমছে দেশে, স্বস্তি দৈনিক কোভিড গ্রাফেও]
উল্লেখ্য, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামে তৈরি সংস্থাটির সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এছাড়াও পরিচালনা সমিতিতে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পি চিদম্বরমের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। শুরু থেকেই কংগ্রেস দাবি করে আসছে, গান্ধী পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই ভ্রান্ত অভিযোগ করছে বিজেপি। তাঁদের কাছে প্রতিটি পায়-পয়সার হিসাব রয়েছে বলেও দাবি করেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।