সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর দাবি, "এই উদ্যোগ আসলে ভোট লোভীদের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এতে হিন্দু ও মুসলিম কারও ভালো হবে না।"
গত ৬ ডিসেম্বর মহাআড়ম্বরের সঙ্গে মুর্শিদাবাদে বিতর্কিত বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবির। ওই বিধায়কের দাবি অনুযায়ী, প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে এই মসজিদ। রবিবার মোহন ভাগবতকে এই ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণ আসলে অতীতের বিতর্ক নতুন করে উসকে দেওয়ার একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এই মসজিদ নির্মাণ আসলে ভোট লোভীদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির পন্থা। তবে এর ফলে হিন্দুদের বা মুসলিমদের, কারও ভালো হবে না।"
পাশাপাশি তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, সরকারি অর্থে ধর্মস্থান নির্মাণ করা কি উচিত? উত্তরে তিনি বলেন, "সরকারি টাকায় ধর্মস্থান নির্মাণ একেবারেই উচিত নয়। এটাই নিয়ম।" সোমনাথ মন্দির প্রসঙ্গে বলেন, "এই মন্দির ট্রাস্টের টাকায় হয়েছিল। সেই সময় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। রাষ্ট্রপতি এর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এখানে সরকারি অর্থ ব্যবহার করা হয়নি। একইভাবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর রাম মন্দির তৈরি করা হয়েছিল। সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠন করতে বলা হয়েছিল। সেই ট্রাস্টের মাধ্যমেই রামমন্দির তৈরি হয়। এখানে কোনও সরকার অর্থ ছিল না। আমরা সকলেই রামমন্দির প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছি।"
উল্লেখ্য, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর পৃথক দল গড়ার চ্যালেঞ্জ ছোড়েন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শুধু তাই নয়, বাংলায় বাবরি মসজিদ তৈরির ঘোষণা করেন তিনি। সেইমতো গত ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় মসজিদের শিলান্যাস করেন হুমায়ুন। এ প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বার্তা ছিল, তিনি অসাংবিধানিক কিছু করছেন না। যে কেউ মন্দির বা গির্জা তৈরি করতে পারে, আমিও তাই করতে পারি। তবে গোটা দেশ যে ইস্যুতে হিংসার আগুনে জ্বলেছে সেই বাবরি মসজিদ বাংলায় নির্মাণ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ ওঠে, আসলে বাবরি মসজিদের নামে বাংলায় দাঙ্গার আগুনে উসকানি দিচ্ছেন হুমায়ুন।
