সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংসদ কোটায় আর ভরতি নয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে (Kendriya Vidyalaya)। এই নির্দেশ জারি করে সোমবারই নতুন গাইডলাইন পেশ করেছে কেন্দ্র। সম্প্রতি রাজ্যসভায় BJP সাংসদ ও বর্ষীয়ান নেতা সুশীলকুমার মোদি আবেদন করেছিলেন অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৮৮০ জনের যে সাংসদ কোটা রয়েছে তা তুলে নেওয়া হোক। এরপরই এই নির্দেশ জারি করল কেন্দ্র।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল লেখা এক চিঠিতে সমস্ত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিকে শিক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে ভরতির ক্ষেত্রে বিশেষ সংরক্ষণের প্রয়োগ আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ১৬ ধরনের কোটা রয়েছে ভরতির ক্ষেত্রে। আপাতত পুরো বিষয়টিই পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই সেগুলিকে সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তাহলে কি এই সংরক্ষণ তুলে নেওয়া হবে? অবশেষে নয়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ‘স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক’ প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে রাষ্ট্রসংঘে সওয়াল ভারতের]
প্রসঙ্গত, এতদিনের নিয়ম ছিল সাংসদ কোটায় একজন সাংসদ প্রতি বছর প্রথম থেকে দশম শ্রেণির সর্বোচ্চ ১০ জন পড়ুয়ার হয়ে সুপারিশ করতে পারবেন। বহুদিন থেকেই সাংসদরা আবেদন জানিয়ে আসছিলেন, হয় এই কোটা তুলে দেওয়া হোক। নয়তো প্রত্যেকের সুপারিশের সংখ্যা বাড়ানো হোক।
কেবল সাংসদ কোটাই নয়, অন্যান্য বহু ক্ষেত্রেই সংরক্ষণও তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে নয়া গাইডলাইনে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষামন্ত্রকের কর্মীদের সন্তান কিংবা সাংসদ ও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের ভরতির কোটাও। রয়েছে স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের নিজস্ব কোটা। সমস্ত ক্ষেত্রে সংরক্ষণই বাতিল করে দিয়েছে কেন্দ্র।
তবে এই সংরক্ষণগুলি তুলে দিলেও কিছু নতুন ক্ষেত্রকে সংরক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সিআরপিএফ, বিএসএফ, আটিবিপি, সিআইএসএফ, এনডিআরএফ, এসএসবি ও অসম রাইফেলসের কর্মীদের ক্ষেত্র।