সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি চাকুরিজীবীরা আরএসএস সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন না ভারতে। দীর্ঘ বছর ধরে আরএসএস-এর মতো সংগঠনের উপর চলে আসা এমন নির্দেশিকায় মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করে এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য আরএসএস সংগঠন নিষিদ্ধ এই ভুল বোধগম্য করতেই পাঁচ দশক কাটিয়ে দিল সরকার!
সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা তালিকায় আরএসএসের নাম থাকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মী পুরুষোত্তম গুপ্তা। সেই মামলা প্রসঙ্গেই বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট জানায়, সরকারী চাকরি করলে তিনি আরএসএস-এর মতো সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না, এটা কতবড় ভুল সিদ্ধান্ত তা টের পেতে পাঁচ দশক কাটিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার! কেন্দ্রের মনেও হল না এমন একটি নির্দেশিকা বছরের পর বছর ধরে রয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘নাম লিখতে বাধ্য করা যাবে না’, কানোয়ার যাত্রায় নেমপ্লেট বিতর্কে নির্দেশ শীর্ষ আদালতের]
আদালতের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বহু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর ইচ্ছে থাকে তাঁরা বিভিন্নভাবে দেশের সেবা করবেন। তবে তাঁদের জন্য আরএসএসের নাম নিষিদ্ধ তালিকায় থাকায় সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয় এতদিনেও কেন্দ্র সেই নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে আরএসএসকে সরালো না। সেটা এমন একটা সময় তালিকা থেকে সরানো হল যখন তা আদালতে উঠল। উল্লেখ্য, এই বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের হওয়ার পর চলতি মাসের গোড়ার দিকে এই নির্দেশিকা সরিয়ে নেয় কেন্দ্রের মোদি সরকার।
[আরও পড়ুন: খনিজ সম্পদে রয়্যালটি রাজ্যেরও, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
উল্লেখ্য, বিজেপির মস্তিষ্ক হিসেবে পরিচিত হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস। এই সংগঠনকে স্বাধীনতার পর থেকে তিনবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। ১৯৪৮ সালে গান্ধীজির হত্যার পরে আরএসএসকে প্রথম নিষিদ্ধ করেছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। এরপর আরও ২ বার এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ১৯৬৬ সালে কেন্দ্র তাদের কর্মচারীদের যে যে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না, এমন তালিকা প্রকাশ করে। যার ভিতরে নাম ছিল আরএসএসেরও।