সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্রুত বাড়াতে হবে করোনার টিকাকরণের (Corona Vaccine) গতি। ২০ ফেব্রুয়ারির আগে অন্তত একবার পূর্ব নির্ধারিত ভ্যাকসিনেশনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করতে হবে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে চিঠি কেন্দ্রের। CoWIN অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করা আছে, এমন প্রত্যেকে যাতে টিকা নেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যগুলিকে। চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে,”অন্তত ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৬০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্য পুরণ হয়েছে। সব রাজ্যকেই বলা হচ্ছে পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে। কারণ, অনেক রাজ্যেই টিকাকরণের গতি আরও খারাপ।”
আসলে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত করোনা ভাইরাস (Coronavirus) নিয়ে যে আতঙ্ক ছিল, তা এখন অনেকটাই স্তিমিত। দেশে করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যু দুটোই নিয়মিত ভাবে কমছে। উলটে ভ্যাকসিন নিয়েই অনেকের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। একদিকে বিরোধীদের প্রচার, অন্যদিকে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর একের পর এক মৃত্যুর খবর আতঙ্ক বাড়িয়েছে। যার ফলে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে টিকা নিয়ে অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই নাম নথিভুক্ত করা সত্ত্বেও ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না। অনেকে আবার ভ্যাকসিন না নিয়েও নেওয়ার ভান করছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের এই আচরণ রীতিমতো উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। কারণ, স্বাস্থ্যকর্মীরাই যদি ভ্যাকসিন নিতে না চান, তাহলে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে ভুল বার্তা যাবে। তাই, এবার যেভাবেই হোক টিকাকরণের গতি বাড়াতে রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: মহামারী আবহে দুর্দান্ত কাজ করেছে বিচারব্যবস্থা, প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী]
প্রসঙ্গত, করোনার ভ্যাকসিনেশন শুরুর দিনই দেশে টিকা নিয়েছিলেন রেকর্ড ২ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ। তার পর আর টিকাকরণের গতি প্রত্যাশিতভাবে বাড়েনি। এখনও পর্যন্ত মোট টিকা দেওয়া হয়েছে প্রায় ৫৬ লক্ষ মানুষকে। যা কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার থেকে অনেকটাই কম। তবে, তাতে দমছে না সরকার। গতকালই স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, মার্চ থেকেই দেশে সাধারণ মানুষের টিকাকরণ শুরু হবে। আপাতত ৫০ বছরের বেশি বয়সিরা ভ্যাকসিন পাবেন। খোলা বাজারে এখনই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না।