সুদীপ রায়চৌধুরী: দলীয় নেতাদের পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে গিয়েছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তার একমাসের মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হল রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তীকে। তাঁর জায়গায় বিজেপি মহিলা মোর্চার নতুন সভানেত্রী হলেন নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র।
শুধু সভানেত্রীই নয়। মহিলা মোর্চা রাজ্যস্তরে খোলনলচে বদলানোর প্রক্রিয়াও একইসঙ্গে শুরু করা হল এদিন। দায়িত্ব পাওয়ার পরই নিজের পছন্দের তিনজনকে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে এসেছেন ফাল্গুনীদেবী। এঁরা হলেন দক্ষিণ কলকাতার শশী আগরওয়াল, পুরুলিয়ার কাবেরী চট্টোপাধ্যায় এবং শিলিগুড়ির অনিন্দিতা রায় দাস।
[আরও পড়ুন: কৃষ্ণ কল্যাণীকে রাতভর জেরা আয়কর কর্তাদের, ‘দুর্নীতি করিনি’, দাবি রায়গঞ্জের বিধায়কের]
রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তরে সদ্য প্রাক্তন মহিলা মোর্চা সভানেত্রী তনুজাদেবী দিলাপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কলকাতা পুরভোটে দলের শোচনীয় বিপর্যয়ের পর রাতারাতি রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে একাধিক রদবদল করা হয়। অগ্নিমিত্রা পালকে সরিয়ে তনুজাদেবীকে রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী করা হয়। সৌমিত্র খাঁর জায়গায় ষুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি করা হয় ডা. ইন্দ্রনীল খানকে। রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়েন সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এবার সেই তনুজাদেবীকে অপসারণের পর আরও বেশকিছু রদবদলের আলোচনা রয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
শোনা যাচ্ছে. আগামী ৯ মে অমিত শাহর বঙ্গ সফরেরে আগেই সেই রদবদল পর্ব সেরে ফেলতে চাইছে নেতৃত্ব। মহিলা মের্চার নতুন সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বিজেপির অভ্যন্তরে দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ। একসময় বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে বিরোধের জেরে সরে যেতে হয় তাঁকে।