shono
Advertisement
Chalamthang

শীতের ছুটির গন্তব্য হোক সিকিমের চালামথাং, কীভাবে যাবেন? জেনে নিন

দক্ষিণ সিকিমের এই গ্রাম নিরিবিলি প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য।
Published By: Sandipta BhanjaPosted: 09:07 PM Nov 28, 2024Updated: 09:07 PM Nov 28, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ সিকিমের এই ছোট্ট গ্রাম যেন প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য। শীতকালীন মরশুমে আরও এক অন্য রূপধারণ করে চালামথাং। হোক কনকনে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, তবুও সিকিমের এই ছোট্ট গ্রাম যেন ভুলিয়ে দেয় শহুরে সমস্ত স্ট্রেস। সারা বছরের শশব্যস্ত শিডিউল থেকে দিন কয়েকের জন্য ছুটি নিতে চাইলে শীতকালীন গন্তব্য হোক চালামথাং।

Advertisement

দক্ষিণ সিকিমের এই গ্রাম নিরিবিলি প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য। পর্যটন মানচিত্রে এখনও তুমুল জনপ্রিয়তার পর্যায়ে পৌঁছায়নি চালামথাং। তাই তো এই জায়গা এখনও আনকোরা। ঘোরাঘুরির জন্য গাড়ি অবশ্যই পাবেন, তবে তাতে যাত্রাপথের নিসর্গশোভা কিছুটা তো পায়ে হেঁটে দেখতেই পারেন। বেশ লাগবে। চালামথাংয়ের প্রধান আকর্ষণ প্রায় ১৬০ বছরের পুরনো এক কুটির। বাঁশ, ঘাস আর গাছের ডালে তৈরি এই কুটির সগর্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাহাড়ের ঢালে। চাইলে সেখানে একটু বিশ্রাম নিতে পারেন। পার্বত্যবাসের নির্মাণশৈলী উপভোগ করার পর চলে যেতে পারেন বান জাখরি গিরিকন্দর। এখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যেতে পারেন রাভাংলা। যেতে পারেন চার ধাম। সেখানে শিবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ এবং সেই সব মন্দিরের প্রতিমূর্তি রয়েছে। রয়েছে এক বিশাল শিবমূর্তিও। রয়েছে আকাশছোঁওয়া গুরু পদ্মসম্ভবের মূর্তি। সারা সিকিম যাঁকে নিজেদের রক্ষাকর্তা বলে মনে করে।

শোনা যায়, এই গুহায় আগে থাকত সিকিমের ওঝারা। সিকিমের ভাষায় তাদের বলা হয় জাখরি। আর, বান মানে গুহা। তা বলে ভাববেন না, ভূতের ওঝার গুহা মানেই খুব ভয়ংকর কিছু। বরং, সবুজে মোড়া পাহাড়ের কোলে এই গুহার সৌন্দর্য আপনার মন ভরিয়ে দেবে। এর পরের গন্তব্য হতে পারে দারার দিকে। সিকিমের ভাষায় দারা মানে পাহাড়চূড়া। চালামথাং-এর ধারে-কাছে ছোট ছোট চূড়া আছে। যেখানে হেঁটে উঠতে একটুও কষ্ট হবে না। বরং, উঠলে দেখতে পাবেন, আপনার পায়ের নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা। আর, তার সামনেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা। কাছাকাছিই রয়েছে রয়েছে হারে দারা। এই হারে দারা চালামথাংয়ের মানুষের কাছে খুব পবিত্র। স্থানীয়দের বিশ্বাস, হারে দারায় এসে নববিবাহিত দম্পতি যদি কিছু প্রার্থনা করেন, তবে তাঁদের কামনা পূর্ণ হয়।

কীভাবে যাবেন?
প্রথম গন্তব্য নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। সেখান থেকে ঘণ্টা তিনেক ভাড়ার গাড়িতে চালামথাংয়ে চলে যেতে পারেন। সারা বছর এখানে যাওয়া যায়। তবে আগে থেকে পরিস্থিতি জেনে রাখবেন। থাকার জন্য হোমস্টে পেয়ে যাবেন। আর সেখানে ফোন করলেই জানতে পারবেন বিস্তারিত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • হোক কনকনে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, তবুও সিকিমের এই ছোট্ট গ্রাম যেন ভুলিয়ে দেয় শহুরে সমস্ত স্ট্রেস।
  • শীতকালীন গন্তব্য হোক চালামথাং।
  • নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ঘণ্টা তিনেক ভাড়ার গাড়িতে চালামথাংয়ে চলে যেতে পারেন।
Advertisement