সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পথে বের হলে প্রকৃতির ডাক অনেকেই উপেক্ষা করতে পারেন না। অগ্যতা আড়াল খুঁজে তাদের সেই কম্ম সারতে হয়। কারও আবার সেই চক্ষুলজ্জাটুকুও থাকে না। চণ্ডীগড়ে অবশ্য ভুলেও একাজটি কেউ করবে না। কেননা তাহলেই জরিমানা ১০ হাজার টাকা। জরিমানার অঙ্ক অনেকটা বাড়িয়ে কিছু বেয়াড়া নাগরিকের বদভ্যাস বন্ধ করতে চাইছে প্রশাসন। বাণিজ্যিক এলাকার এক্ষেত্রে এটাই শাস্তি। আর আবাসিক এলাকার ক্ষেত্রে অঙ্কটা ৫ হাজার টাকা। যত্রতত্র নোংরা ফেললেও এই শাস্তি জুটবে।
[ ভক্তদের হাতে দুধ পান করছে পাথরের মূর্তি, যোগীর রাজ্যে শোরগোল ]
স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের প্রচারের শেষ নেই। নিজের এলাকা পরিষ্কার রাখার জন্য নানা কর্মসূচি নেওয়া হলেও দেশের মানুষের একাংশের বদভ্যাস যায়নি। সুযোগ পেলে যেখানে-সেখানে প্রস্রাব করা অনেকের বদভ্যাস। চণ্ডীগড়ে এই প্রবণতা কম কিছু নয়। অনেক প্রচার করেও বাসিন্দাদের একাংশকে বাগে আনতে পারেনি পুরসভা। তাদের এই কু-অভ্যাস ছাড়াতে এবার বিশাল অঙ্কের জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে বাণিজ্যিক এলাকায় প্রস্রাব করলে ফাইন হবে ১০ হাজার টাকা, আবাসিক এলাকাতেও ছাড় নেই। সেখানে গুনতে হবে ৫ হাজার টাকা। চণ্ডীগড় পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এটি কোনও জরিমানা নয়। এই অর্থ নোংরা পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার হবে। আধুনিক এই শহরের মেয়র আশা জশওয়ালের কথায়, তাঁরা কোনও জায়গায় অপরিচ্ছন্ন করতে দেবেন না। শহরকে সুন্দর রাখা প্রত্যেক বাসিন্দার কর্তব্য। চণ্ডীগড়ে ইচ্ছেমতো ময়লা ফেলার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সেখানেও রয়েছে মোটা অঙ্কের জরিমানা।
[ফোন ব্যবহার নিয়ে বচসা, জওয়ানের গুলিতে মৃত্যু মেজরের]
জরিমানা আদায় হবে কীভাবে? এর উত্তরে পুরসভা জানিয়েছে তাদের কিছু টিম সারপ্রাইজ ভিজিটে যাবে। ফাইন দিতে না পারলে অভিযুক্ত নাগরিকের জলের বিলের সঙ্গে তা জুড়ে দেওয়া হবে। পরিচ্ছন্নতার নিরিখে একসময় দেশে সামনের সারিতে ছিল চণ্ডীগড়। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এই শহর ১১ নম্বরে নেমে আসে। তারপরই টনক নাড়ে প্রশাসনের। আগে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হত। এক ধাক্কায় ১০ এবং ২০ গুন ফাইন বাড়াতে ১৯৯৯ সালের একটি আইন সংশোধন করা হয়।
The post পথেঘাটে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে এবার খেসারত ১০ হাজার টাকা! appeared first on Sangbad Pratidin.