সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্য অনেক বড়। তবে সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর আগেই ছোট ছোট ধাপে এগোতে চাইছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ২০৪০ সালে চাঁদের মাটিতে মানুষ নামাবে ভারত। তবে সেই অভিযানে শঙ্কার মেঘ কাটাতে এবার নয়া অভিযানের কথা ঘোষণা করলেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। তিনি জানলেন, চন্দ্রযান-৪ চাঁদের ভূপৃষ্ঠ থেকে পাথর কুড়িয়ে আনবে। সে কাজে সফল হলে তবেই চাঁদে মানুষ পাঠানোর ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরো প্রধান বলেন, "২০৪০ সালে চাঁদে মানুষ পাঠনোর ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে মহাকাশচারীর নিরাপত্তা। অথচ এখনও পর্যন্ত চাঁদে গিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসার পরীক্ষাই আমরা করিনি। তাই সবার আগে সেই পরীক্ষাই করতে হবে আমাদের। চন্দ্রযান-৪ সেই চেষ্টাই করবে।" সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৮ সালে মহাকাশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৪।
এ প্রসঙ্গে সোমনাথ বলেন, এর আগের অভিযানে চন্দ্রযান-৩ নেমেছিল চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে। পরবর্তী অভিযানে সেখান থেকেই নমুনা সংগ্রহ করা হবে। চন্দ্রযান অভিযানে সাফল্যের পর খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাঁদের এই অংশের নাম দিয়েছিলেন 'শিবশক্তি পয়েন্ট'। পরবর্তী চন্দ্রাভিযানে সেখান থেকেই পাথর সংগ্রহ করবে চন্দ্রযান-৪। এর পর সেটি ফিরে আসবে পৃথিবীতে। এই অভিযানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে উপযুক্ত রকেট বানাতে তৎপর হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মানুষ পাঠানোর উপযোগী রকেট বানাতে কী কী প্রয়োজন তার গবেষণা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রথমবার ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় সফলভাবে চাঁদের মাটিতে পালকের মতো ভেসে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩। সেই সাফল্যের পর আরও বড় স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন ২০৪০ সালে চাঁদের মাটিতে মানুষ পাঠাবে ইসরো। ১৬ বছরের এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তবে সেই অভিযান বাস্তবায়নের আগে সবকিছু খতিয়ে দেখতে নয়া অভিযান ঘোষণা ইসরো চেয়ারম্যানের।