বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: আর কয়েক মাস পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2021)। ঘাসফুল শিবিরই ফের মসনদে বসবে নাকি ক্ষমতার পালাবদল হয়ে বিরোধী বিজেপি দখল নেবে বাংলার? তা নিয়েই চলছে জোর চর্চা। তবে তারই মাঝে দলবদল, ‘বেসুরো’ নেতানেত্রীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে তৃণমূল। ক্রমশ প্রকাশ্যে চলে আসছে গোষ্ঠীকোন্দল। এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ক্ষমতার প্রভাব খাটানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নিজের বুথে একজন দলীয় সৈনিক হিসাবে কাজের কথা বললেন তিনি।
শুক্রবার কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে জেলা মহিলা তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। মহিলা তৃণমূল সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এদিন তিনি কর্মীদেরও কড়া বার্তা দেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যে যত বড় নেত্রীই হোন না কেন নিজের বুথে সেনানী হিসেবে কাজ করবেন।” আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাপ্রকাশ করেন চন্দ্রিমা। তাঁর দাবি, “মহিলারা এই সরকারকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনবে।”
[আরও পড়ুন: ১৯ জানুয়ারি পুরুলিয়ায় জনসভা মুখ্যমন্ত্রীর, প্রস্তুতি বৈঠকে গরহাজির এক বিধায়ক]
ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান লেগেই রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, যা যথেষ্ট চাপে রেখেছে ঘাসফুল শিবিরকে। তবে শাসকের ঘরের অস্বস্তিই অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিরোধী গেরুয়া শিবিরকে। ঠিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই দলবদল প্রসঙ্গে বিশেষ আমল দিতে নারাজ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, “এটা গণতান্ত্রিক দেশ। যার যেকোন রাজনৈতিক দল করার অধিকার আছে। তিনি সেটা করতেই পারেন বা যেতে পারেন।” তার পাশাপাশি বিজেপিকেও একহাত নেন চন্দ্রিমা। তাঁর কটাক্ষ, “কে কী প্রলাপ বকছে তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যাথা নেই। মাথাব্যাথা নেই মানুষেরও। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসেন। তাকেই তারা এবার আবারও মুখ্যমন্ত্রী করবেন।”
আমফানের ত্রাণ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তদন্তও চলছে। সেই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “যাদের তদন্ত করার অধিকার আছে তারা তদন্ত করতে পারেন। যারা যেমনভাবে চাইবেন, সেভাবেই তদন্ত করতে পারেন।” উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই যে তৃণমূল এবার ভোট বৈতরণী পার করবে, তাও স্পষ্ট চন্দ্রিমার গলায়। তিনি বলেন, “উন্নয়নকে ইস্যু করেই এবার তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে লড়বে। নির্বাচনের আগে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে এটা আগে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কাউকে দেখেছেন? সেটা করে দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দুয়ারে সরকারের যে রিপোর্ট কার্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ করেছেন, সেটাই তো শ্বেতপত্র।”