সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: অবশেষে বাংলার বকেয়া প্রাপ্তির রাস্তা প্রশস্ত হতে চলেছে। শনিবার দিল্লিতে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়ে এমন ইতিবাচক কথাই শোনালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ প্রকল্প এবং জিএসটি ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত সমস্ত অডিট রিপোর্ট হাতে এসেছে দিল্লির। সেকথা মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। সেইমতো সোমবার রাজ্যের হাতে সমস্ত সার্টিফিকেট তুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আর তাতেই বকেয়া প্রাপ্তির রাস্তা খুলছে বলে আশার আলো দেখছেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠক থেকে বেরিয়ে একথা জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
মোদি ৩.০ সরকারের (Modi 3.0) প্রথম সংসদ অধিবেশন শুরু হবে ২৪ জুন থেকে। এই অধিবেশনের শেষেই নতুন সরকারের বাজেট পেশের সম্ভাবনা। তার আগে শনিবার প্রস্তুতি বৈঠক হয়ে গেল দিল্লিতে। এছাড়া প্রতি ত্রৈমাসিকে জিএসটি পরিষদের (GST Council) নিয়মিত বৈঠকে যোগ দিতেই এদিন দিল্লি গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। দুটি বৈঠকেই ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, প্রাক বাজেট বৈঠকে বাংলার বকেয়া নিয়ে রীতিমতো সুর চড়ান বাংলার অর্থমন্ত্রী। তাঁর সাফ বক্তব্য, শুধু অর্থ বরাদ্দ করলেই চলবে না। সেই অর্থ রাজ্যগুলির হাতে পৌঁছনো দরকার। বাংলার ক্ষেত্রে এই অর্থ দিতে উদাসীনতা রয়েছে কেন্দ্রের। তাই দীর্ঘদিন ধরেই বাংলা (West Bengal) নিজস্ব অর্থ প্রাপ্তিতে বঞ্চনার শিকার। তিনি আরও জানান, বৈঠকে কেন্দ্র মেনে নিয়েছে যে বাংলার সমস্ত অডিট রিপোর্ট হাতে এসেছে। এতদিন যা নিয়ে অভিযোগ ছিল কেন্দ্রের।
[আরও পড়ুন: কমছে দুধের দাম, করমুক্ত রেলের একাধিক পরিষেবা, জিএসটি বৈঠকে বড় পদক্ষেপ অর্থমন্ত্রীর]
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ''জিএসটি বৈঠক আনুষ্ঠানিক ছিল। তেমন কিছু হয়নি। আমি বাংলার বকেয়া নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছি। বলেছি যে শুধু বরাদ্দ করলে চলবে না, টাকা হাতে আসবে কবে? তা নিয়ে সদর্থক ভূমিকা কাম্য। তাতে কেন্দ্র মেনে নিয়েছে যে বাংলার সমস্ত অডিট রিপোর্ট (Audit Report) হাতে পেয়েছে। কিছু বাকি নেই। সেইমতো সোমবার আমাদের সমস্ত সার্টিফিকেট দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।'' মনে করা হচ্ছে, অডিট রিপোর্ট এবং সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে বকেয়া প্রাপ্তির রাস্তা আরও সহজ হল বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতে বাংলার বকেয়া প্রাপ্তি নিয়ে টানাপোড়েন চলছিলই। তৃতীয় মোদি সরকারের কাছে সেই বকেয়া মেটানোর আবেদন রেখেছে রাজ্য সরকার। শনিবারের বৈঠকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর বক্তব্যের পর তা নিয়ে আশাবাদী রাজ্য।