সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিগেডের জমায়েতে আপ্লুত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। বক্তব্যের শুরুতেই বললেন, “এত বড় সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ জীবনে এই প্রথম।” শাসকদলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, “একুশে পরিবর্তন হবেই।”
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ( Assembly Elections 2021) আগে বামেদের ব্রিগেডে নজর ছিল প্রত্যেকের। কারণ, এবারের ব্রিগেডে ছিলেন কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা-কর্মীরাও। প্রত্যাশা মতোই রবিবার বেলা বাড়তেই ব্রিগেডে বেড়েছে ভিড়। সব রাস্তা যেন মিশেছে ব্রিগেড ময়দানে। যত দূর চোখ গিয়েছে, তত দূরই শুধু লাল নিশান আর মাথা দেখা গিয়েছে। মঞ্চে ছিলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে সীতারাম ইয়েচুরি, সেকুলার ফ্রন্টের প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি-সহ অন্যান্য তাবড় তাবড় নেতারা। এদিনের জমায়েত নতুন আশার আলো দেখিয়েছেন প্রত্যেকে। রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে প্রত্যেক নেতা দাবি করেছেন, “তরুণ প্রজন্মের স্বার্থে, প্রতিটি মানুষের ভবিষ্যতের জন্যে এই জোট ক্ষমতায় আসা অত্যন্ত প্রয়োজন। এদিনের জমায়েতে আপ্লুত অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “এত বড় সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ জীবনে প্রথম। এই সভা প্রমাণ করছে আগামীতে তৃণমূল-বিজেপিকে ছাপিয়ে যাবে সংযুক্ত মোর্চা। আগামী দিনে তৃণমূল-বিজেপি থাকবে না, সংযুক্ত মোর্চা থাকবে।”
[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! এক মাস করোনা পজিটিভ থেকেও বেঁচে ফিরলেন দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ]
উল্লেখ্য, এদিন ব্রিগেডে আমজনতার ভিড় এবং এই রাজনৈতিক মেলবন্ধনকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন ইয়েচুরি। তাঁর কথায়, “এবারের ব্রিগেড সবদিক থেকেই ঐতিহাসিক। এই ভিড় বুঝিয়ে দিচ্ছে এ রাজ্যের মানুষ পরিবর্তন চাইছে। মানুষের কাছে তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি নয়। কারণ একদল দুর্নীতি, লুঠে বিশ্বাসী। আর অন্যদল মানুষ-মানুষে বিভেদ তৈরি করতে ব্যস্ত। তাই এবার বাংলায় পরিবর্তন চাই। এবার এ রাজ্যে তৈরি হবে জনহিতের সরকার।” এদিনের সভা থেকে কার্যত প্রত্যেক নেতাই দাবি করেছেন, পরিবর্তন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।