সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দুয়ারে সরকার ক্যাম্পকে (Duare Sarkar Camp) কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বর্ধমানের টাউনহল। লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বচসা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে গেল। রক্তপাতও হয়েছে। অভিযোগ, এক বৃদ্ধাকে হেলমেট দিয়ে মারা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বর্ধমান থানার পুলিশ। তাঁদের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ফের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi) বন্টনের কাজ শুরু হয়।
বিধানসভা ভোটের আগে দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেই অনুযায়ী রাজ্যের বহু মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বন্টন করা হয়েছিল। তবে একুশের ভোটের আগে কিছু মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাননি। তাঁদের ভোটের পর কার্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী সোমবার বর্ধমানের টাউন হলে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হয়। ভোররাত থেকেই ক্যাম্পের বাইরে লম্বা লাইন পড়ে।
[আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র ফর্ম বিলিকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল জেলায় জেলায়, বীরভূমে পদপিষ্ট ৭]
ক্যাম্পের (Duare Sarkar Camp) এই লাইনকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের বচসা শুরু হয়ে যায়। রাহুল মণ্ডল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, তাঁর দিদা রাধা মণ্ডল লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় কিছু মানুষ বেলাইনে কার্ড নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকে। রাধাদেবীর অভিযোগ, তাঁকে হেলমেট দিয়ে মারা হয়। ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে অপ্সরা গুপ্তের অভিযোগ, তাঁর বৃদ্ধ শ্বশুরকে মারা হয়েছে। মেরে ছেলের ঠোঁট ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। চুলের মুঠি ধরে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ মারের হাত থেকে বাদ যাননি অপ্সরাদেবীর স্বামীও। দুই পক্ষের বচসা বেশ কিছুক্ষণ চলতে থাকে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে বর্ধমান থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তারপর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বন্টনের কাজ শুরু হয়। দুই পক্ষই থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে বলে খবর। এবিষয়ে বর্ধমান পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক অমিত গুহ বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তোলার কাজ চলছিল। সেখানে ঠিক কী ঘটেছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।”