নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ২৮ মাস পর বগটুই গণহত্যা মামলায় রামপুরহাট মহকুমা আদালতে চার্জগঠন। ২০২২ সালের ২১ মার্চ বগটুই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের ঘটনার জেরে গ্রামে গণহত্যা হয়। ঘরে ঢুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় ১০ জনকে। গণহত্যা কাণ্ডে ২৩ জন ধৃত জেল হেফাজতে আছে।
অভিযুক্তের তালিকায় রামপুরহাট ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেনও রয়েছেন। সকলকেই শুক্রবার আদালতে হাজির করা হয়। একইসঙ্গে ৬ জনের জামিনের আবেদন করা হয়। তা খারিজ করে দেন বিচারক। সকলের উপস্থিতিতে খুন,অগ্নি সংযোগ,সংগঠিত অপরাধ-সহ একাধিক ধারায় চার্জশিট দেয় সিবিআই। আগামী মাসে তারই ভিত্তিতে সাক্ষ্যগ্রহণ হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত ২০২২ সালের ২১ মার্চ, রামপুরহাট শহর লাগোয়া ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা তথা বড়শাল পঞ্চায়েতের ভাদু শেখকে। ওই খুনের বদলা নিতে এক শিশু কন্যা-সহ ১০ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে ভাদু ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে ঘটনার ৯ মাস পর গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর দুপুরে সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় লালনের। ঘটনার পর ফের উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। রাতারাতি সিবিআই রামপুরহাটের অস্থায়ী অফিস গুটিয়ে চলে যায়। কিন্তু সিবিআই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তদন্ত থামায়নি। নিজেদের গতিতে তদন্ত চালাতে শুরু করে।
[আরও পড়ুন: ইন্দিরার ‘এমার্জেন্সি’র কথা মনে করিয়ে ২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ ঘোষণা মোদি সরকারের]
নৃশংস সেই গণহত্যার পরে রাজ্য সরকার সিট গঠন করে। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিটের কাছ থেকে তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। সিটের পক্ষ থেকে ৩৩ জনের নামে গণহত্যার অভিযোগ দায়ের হয়। পরে তিনজনের নাম যুক্ত করা হয় অভিযোগে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুন এবং অগ্নি সংযোগের অভিযোগ রয়েছে।