সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিওয়ালিতে নিষিদ্ধ আতশবাজি। রাজধানী দিল্লির বুকে সুপ্রিম নিষেধাজ্ঞায় নেমেছে এই খাঁড়া। আর তারপরই বিতর্ক চড়িয়ে দিলেন লেখক চেতন ভগত। তাঁর প্রশ্ন, শুধু হিন্দু উৎসবের উপরই কেন নিষেধাজ্ঞা? তাহলে কি ইদে ছাগল এবং মহরমে রক্তপাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি হবে?
পরিবেশ দূষণের কথা ভেবেই বাজিতে এবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে এই দিওয়ালিতে রাজধানীতে আর দেখা যাবে না আতশবাজির রোশনাই। আর তাতেই ক্ষুব্ধ চেতন ভগত। তাঁর দাবি, দিওয়ালিতে বাজি নিষিদ্ধ করার অর্থ ক্রিসমাসে ক্রিসমাস-ট্রি নিষিদ্ধ করা । একটা প্রথা দীর্ঘদিন চলে আসছে। তাও বছরে একদিন। তার উপরই কেন নিষেধাজ্ঞা, প্রশ্ন চেতনের। বাচ্চাদের কাছে আতশবাজি ছাড়া দিওয়ালির কী মূল্য আছে? এরপরই তিনি প্রশ্ন তোলেন নিষেধাজ্ঞার একপেশেমি নিয়ে। তাঁর দাবি, হিন্দুদের উৎসবের উপরই কেন এই নিষেধাজ্ঞা? তাহলে কি ইদে বলি বা মহরমে রক্তপাতের মতো বিষয়গুলিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে?
এদিকে এই সিদ্ধান্তের ফলে ঘোর সংকটে বাজি প্রস্তুতকারকরা। তামিলনাড়ুতেই বেশিরভাগ বাজি প্রস্তুত হয়। যা ছড়িয়ে পড়ে দিল্লিতে। মূলত একশ্রেণির মানুষের পেশাই এটা। তাঁদের রুটি-রুজিও নির্ভর করে এই বাজি বাজারের উপর। এই সিদ্ধান্তের ফলে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে তাঁরা। প্রায় ১০০০ কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে এই নিষেধাজ্ঞার জেরে। বহু মানুষ কাজ হারিয়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছেন। যেহেতু দিওয়ালির মাত্র দিন দশেক আগে এই নিষেধাজ্ঞা নেমেছে তাই তা পর্যালোচনা করাও সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতেই মাথায় হাত সাধারণ মানুষের। বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে দূষণের কারণ দেখিয়ে বাজি নিষিদ্ধ করার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছিল। শীর্ষ আদালতের এই রায়ে তাদের দাবি পূরণ হল। কিন্তু বাজি প্রস্তুতকারকদের প্রশ্ন, আতশবাজিতে দূষণ হয় বড়জোর এক সপ্তাহের জন্য। কিন্তু গাড়ি থেকে যে বছরভর দূষণ ছড়ায় তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? একই প্রশ্ন চেতন ভগতেরও। তাঁর দাবি নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং নিয়ন্ত্রণ দরকার বাজির ক্ষেত্রে।
The post ‘দিওয়ালির বাজিতে না, মহরমে রক্তপাতও কি নিষিদ্ধ হবে?’ appeared first on Sangbad Pratidin.