সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট কোহলির টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়া প্রসঙ্গে মুখ খুলে নতুন করে ক্রিকেটবিশ্বে আলোড়ন তৈরি করেছেন ভারতীয় নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা। আর এবার কোহলি ও রোহিত শর্মার সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করলেন তিনি।
উপর-উপর সব ঠিকঠাক মনে হলেও কোহলি ও রোহিতের (Rohit Sharma) মধ্যে ছাই চাপা মনোমালিন্যের কথা একাধিকবার উঠে এসেছে শিরোনামে। কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় পরস্পরকে ফলো না করা, তো কখনও দল নির্বাচনে রোহিতকে গুরুত্ব না দেওয়ার ঘটনায় দুই তারকার মধ্যে দূরত্বের ছবিটাই স্পষ্ট হয়ে ধরা দিয়েছে। আর গত মাসে নির্বাচকদের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা হওয়ার পর সেই আগুনে ঘি পড়ে। বিসিসিআইয়ের (BCCI) নির্বাচক মণ্ডলী জানিয়ে দেয়, টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওয়ানডেতেও নেতৃত্বের দায়িত্ব সামলাবেন রোহিতই। এরপরই শোনা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নাকি ওয়ানডে সিরিজে খেলতে চান না কোহলি। আবার দুয়ে দুয়ে চার করে দুই ক্রিকেটারের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল গাড় হয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে একেবারে অন্য কথা বললেন চেতন শর্মা। জানিয়ে দিলেন দুই তারকার মধ্যে কোনও মনোমালিন্য নেই।
[আরও পড়ুন: ওমিক্রন নয়, ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, জানাল স্বাস্থ্যভবন]
কোহলি ও রোহিতের দূরত্ব মেটাতে কি দু’জনকে মুখোমুখি বসানোর ভাবনাচিন্তা রয়েছে ভারতীয় বোর্ডের? এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচক প্রধান সাফ জানিয়ে দেন, তার কোনও প্রয়োজনই নেই। কারণের দু’জনের মধ্যে কোনও সমস্যাই নেই। চেতন শর্মার কথায়, “কেন তাঁদের মুখোমুখি বসানো হবে? সবকিছু তো ঠিকই আছে। সেই জন্যই বলি গুজবে কান দেবেন না। আমরা সকলে প্রথমে ক্রিকেটার, তারপর নির্বাচক। আর ওদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই।” এখানেই শেষ নয়, এরপরই যোগ করেন, “এই ধরনের খবর শুনে সত্যিই হাসি পায়। ওরা নিজেদের মধ্যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও করে। সবকিছু দারুণ চলছে। আমার জায়গায় থাকলে দেখতে পেতেন ওরা কীভাবে একসঙ্গে প্রাণোবন্তভাবে কাজ করে। লোকজন উলটোটা ভাবে বলে খারাপই লাগে। তাই সব বিতর্ক ২০২১ সালে ফেলে রাখুন। নতুন বছরে বরং দলের উন্নতির কথা হোক।”
প্রসঙ্গত, কোহলির টি-২০ অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে চেতন শর্মা বলেছিলেন, বিরাটের (Virat Kohli) অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তে তাঁরা চমকে গিয়েছিলেন। সব নির্বাচকের মনে হয়েছিল এই সময় বিরাট অধিনায়কত্ব ছাড়লে তার প্রভাব পড়বে দলের পারফরম্যান্সে। তাই সকলেই কোহলিকে সিদ্ধান্তটা আরেকবার ভেবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেখানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, জয় শাহরাও ছিলেন। বলা হয়েছিল, বিশ্বকাপের পর এসব নিয়ে আলোচনা করা যাবে। কিন্তু কোহলি অভিযোগ করেছিলেন, টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়তে তাঁকে নাকি কেউ বারণ করেননি।