সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ভাই-বোন। বিয়েও করতে চেয়েছিলেন। বাধ সেধেছিল পরিবার। তবুও নাছোড় তাঁরা। তাই পরিবারের সম্মান বাঁচাতে দুজনকে বিষ খাইয়ে খুন করল আত্মীয়রা। ছত্তিশগড়ের এই নৃশংস ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শ্রীহরি ও ঐশ্বর্য খুড়তুতো ভাইবান। ছত্তিশগড়ের দুর্গ জেলার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা। দুজনে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্যে গত মাসে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান দুজনে। তাঁদের খোঁজে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। দুর্গ পুলিশ চেন্নাইয়ের কাছে দুজনের হদিশ পায়। তাঁদের ফিরিয়েও আনে। গত ৭ অক্টোবর আইনি নিয়মকানুন মিটিয়ে দুজনকে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন : পাশবিক! বিহারে গণধর্ষণের পর সন্তান-সহ মহিলাকে নদীতে ছুঁড়ে ফেলল দুষ্কৃতীরা]
শনিবার রাতে কৃষ্ণনগরে টহলদারির সময় শ্রীহরি ও ঐশ্বর্ষের বাড়িতে সন্দেহজনক কার্যকলাপ চোখে পড়ে পুলিশের। খোঁজ নিতেই নৃশংস ঘটনাটি সামনে চলে আসে। পুলিশ জানতে পারে শ্রীহরি ও ঐশ্বর্যকে বিষ খইয়ে খুন করা হয়েছে। এমনকী, ১০ কিলোমিটার দূরে নদীর চড়ে দুজনের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও পুলিশ জানতে পারে। শেষপর্যন্ত পুলিশি তৎপরতায় শিবনাথ নদীর পাড় থেকে অর্ধদগ্ধ দেহদু’টি উদ্ধার হয়।
পরিবারের সম্মান বাঁচাতে ভাই-বোনকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে পরিবারের দুই সদস্য। অভিযুক্ত দুজনের মধ্যে এক জন শ্রীহরির কাকা রামু ও অপরজন মেয়েটির ভাই চরণ। দুজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিহাল নগরের সিটি সিএসপি অজিত যাদব জানান, “শনিবার রাতে কৃষ্ণনগরে দুজনের বাড়িতে সন্দেহজনক কার্যকলাপ চোখে পড়তেই তৎপর হয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলছে তদন্তও।”