বাবুল হক, মালদহ: মালদহের কাউন্সিলর বাবলা সরকার ওরফে দুলালকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। ম্যারাথন জেরার পর গ্রেপ্তার মালদহ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি-সহ ২ জন। ধৃত আরেকজনের নাম স্বপন শর্মা। মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৭। কিন্তু কেন এই হত্যাকাণ্ড? নেপথ্যে রাজনীতি নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা? তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই দাবি পুলিশের।
দিন ছয়েক আগে খুন হন মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলা সরকার। তদন্তে নেমে আগেই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার মালদহ টাউনের তৃণমূল সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও তাঁর দুই ভাই ধীরেন্দ্রনাথ এবং অখিলেশকে তলব করে পুলিশ। ম্যারাথন জেরার পর বৃহস্পতিবার সকালে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্বপন শর্মা নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই হত্যাকাণ্ড? নেপথ্যে রাজনীতি নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা? সূত্রের খবর, ২০২২ সালে পুরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারের অনুগামীদের সঙ্গে নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারির শিবিরের অশান্তি হয়েছিল। বাবলা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নরেন্দ্রনাথ এবং তাঁর ভাইকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশের অনুমান, পুরনো সেই অশান্তির সঙ্গে যোগ রয়েছে এই হত্যাকাণ্ডের।
পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের ঝলঝলিয়া এলাকার বাসিন্দা আরও ২ অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ফেরার দু'জনের ছবি প্রকাশ করে তাদের সন্ধান দিতে পারলে পুলিশের তরফে দুই লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন মহলের অনুমান, সুপারি কিলার এনে বাবলা সরকারকে খুন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি, মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলা সরকার তাঁর নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন। পাইপ লাইন মোড়ে তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামেন। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে করে আসা চার দুষ্কৃতী কাউন্সিলরকে ধাওয়া করে। গাড়ি থেকে নেমেই কাউন্সিলর দৌড়ে তাঁর কারখানার উলটো দিকে একটি দোকানে দৌড়ে যান। বাঁচার চেষ্টা করেন। দুষ্কৃতীরাও ওই দোকানের ভিতরে ঢুকে যায়। কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় কাউন্সিলরের।