সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বান্ধবী। সেই ‘অপরাধেই’ তরুণীকে ৫১ বার কোপাল যুবক। ভয়ানক ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ বছর বয়সি ওই তরুণী। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছিল? ছত্তিশগড় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর সন্ধেবেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন আক্রান্ত তরুণী। আচমকাই ঘরের মধ্যে ঢুকে এসে হামলা চালায় অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে ওই তরুণীকে খুনের চেষ্টা করা হয়। তারপরেই স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ৫১ বার কোপ দেয় অভিযুক্ত। রক্তাক্ত অবস্থায় তরুণীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সে।
[আরও পড়ুন: প্রিকশন ডোজ নেওয়া থাকলে ভুলেও ন্যাজাল ভ্যাকসিন নয়, সতর্ক করল কোভিড টাস্ক ফোর্স]
দীর্ঘক্ষণ সময় ধরে ওইভাবেই পড়ে ছিলেন আক্রান্ত তরুণী। পরে তাঁর ভাই এসে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক পেশায় বেসরকারি বাসের কন্ডাকটর। ছত্তিশগড়ের একটি বাসে যাতায়াত করার সময়ই ওই তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় তার। যাত্রী-কন্ডাকটর থেকে বন্ধুত্বে গড়ায় তাঁদের সম্পর্ক। কর্মসূত্রে গুজরাট চলে যায় অভিযুক্ত। আহমেদাবাদে থেকেও ওই তরুণীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর।
কিন্তু তিন বছর ধরে তাঁদের বন্ধুত্ব থাকলেও কিছুদিন আগে কথা বলা বন্ধ করে দেন ওই তরুণী। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক বিশ্বদীপক ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, কথা বলা বন্ধ করার পরে একাধিকবার ওই তরুণীকে খুনের হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত। রেহাই পাননি তরুণীর বাবা-মাও। ছত্তিশগড়ে ফিরেই তরুণীর উপরে হামলা চালায় সে। পলাতক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চারটি দল গঠন করে তল্লাশি চালাচ্ছে স্থানীয় পুলিশ।