সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিচার বিভাগকে ঔপনিবেশিক (Colonial Mindset) ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জেলা বিচার বিভাগকে ‘অধস্তন’ বিচার বিভাগ মনে করা সেকেলে ধারণা। মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice DY Chandrachud)। তাঁর মতে, দেশকে আরও আধুনিক ও বৈষম্যহীন বিচার ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নয়া প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আধুনিক বিচার বিভাগ তথা বৈষম্যহীন বিচার ব্যবস্থার দিকে এগোতে হবে আমাদের। হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের মতো উচ্চ আদালতগুলিকে বুঝতে হবে, জেলা বিচার বিভাগ হল বিচার ব্যবস্থার ভিত্তি।”
[আরও পড়ুন: ‘যোনিচ্ছেদ প্রথা বন্ধ করুন’, ভারতকে মানবাধিকার তোপ কোস্টারিকার]
আরও এক ধাপ এগিয়ে বিচার ব্যবস্থায় ঔপনিবেশিক ধারণা নিয়ে আক্ষেপ করেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। বলেন, “আমরা পরাধীন সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি। আমরা আমাদের জেলা বিচার বিভাগকে অধস্তন বিচার বিভাগ মনে করি। আমি সচেতনভাবে জেলা জজদের অধস্তন বিচারক বলি না। কারণ তাঁরা অধস্তন নন। তাঁরা জেলা বিচার বিভাগের সত্তা।”
ঔপনিবেশিকতার উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি একাধিক জেলা আদালতে গিয়ে দেখেছেন, উচ্চ আদালতের বিচারপতিরা যখন মধ্যাহ্নভোজ করেন, তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন জেলা আদালতের বিচারক। এমনকী অনেক ক্ষেত্রে হাই কোর্টের বিচারপতিদের খাবার বেড়ে দেন জেলা বিচার বিভাগের বিচারকরা। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের দাবি, তিনি জেলার বিচারকদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাওয়াদাওয়া করেন, কলোনিয়াল ধারণা ভাঙার জন্য।
[আরও পড়ুন: ফ্রিজে প্রেমিকার দেহ, ফ্ল্যাটে অন্য মহিলার সঙ্গে আফতাব, দিল্লির খুনে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য]
এছাড়াও সোমবার বার অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি জেলা স্তরের মহিলা বিচারকের জন্য পৃথক শৌচাগার না থাকার মতো সমস্যার কথা তুলে ধরেন। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “আমি জানি জেলা স্তরের মহিলা বিচারকদের কোনও শৌচাগার নেই। তাঁরা সকাল ৮টায় বাড়ি থেকে বের হন। সেই সময় থেকে সন্ধ্যা ৬টায় বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁরা শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের সবার আগে জেলা স্তরের বিচার বিভাগের চেহারার পরিবর্তন করতে হবে।” বিচার বিভাগের শূন্য পদ নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।