সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোরবিতে (Morbi Bridge Collapse) সেতু ভেঙে পড়ে ১৪১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল স্থানীয় পুরকর্তাকে। জেরার সময়ে সন্দীপসিন ঝালা নামে মোরবি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের চিফ অফিসার স্বীকার করেছেন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই সেতুটি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার সকালেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার টানা চার ঘণ্টা ধরে জেরা করার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এখনও সরকারি ভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করা হয়নি।
ঘড়ি ও ক্যালকুলেটর প্রস্তুতকারী সংস্থা ওরেভাকে (Oreva Company) কেন সেতু সারানোর দায়িত্ব দেওয়া হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। ইতিমধ্যেই আদালতে তদন্তকারীদের তরফে বলা হয়েছে, আদৌ সেতু সারানোর যোগ্যতা ছিল না ওরেভার। তা সত্বেও কেন সেই সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হল, তা নিয়ে লাগাতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সন্দীপসিনকে। কোনও প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি তিনি। বরং তিনি স্বীকার করেছেন, কোনও পরীক্ষা না করেই সাধারণ মানুষের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলা: সায়গলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল্লির আদালতের, পাঠানো হবে তিহার জেলে]
প্রসঙ্গত, আসন্ন গুজরাট নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই সেতু খুলে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ উঠেছিল প্রথম থেকেই। তদন্ত শুরু হওয়ার পরে জানা যায়, সেতু মেরামত করার পরিবর্তে কেবল সেতুর উপরে পিচের প্রলেপ করে দেওয়া হয়। বিকল হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও পালটানো হয়নি সেতুর ভারসাম্য রক্ষাকারী কেবলগুলি। এমনকি স্থানীয় জেলাশাসককে চিঠি লিখে ওরেভা কোম্পানির তরফে বলা হয়েছিল, আপাতত জোড়াতালি দিয়ে সেতু মেরামতির কাজ করে ছেড়ে দেওয়া হবে। চুক্তি সই হওয়ার পরে সঠিক ভাবে সেতুটি সারিয়ে তোলা হবে।
ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ওরেভার দুই আধিকারিক-সহ ন’ জনকে। আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে এক আধিকারিক বলেন, ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই মোরবির সেতু ভেঙে পড়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই কথা আগে থেকেই জানত প্রশাসন। গণহত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে ওরেভার বিরুদ্ধে। এবার প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হল।