ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক কর্মসূচি পালন করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। আর জি কর ইস্যুতে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের সমর্থনে আগামী মঙ্গলবার সর্বভারতীয় সংগঠনের তরফে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। রবিবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি রাজ্য শাখার কাছে পৌঁছতেই আসরে নামল রাজ্য সরকার। সোমবারই স্বাস্থ্যভবনে আইএমএ-সহ অন্যান্য় চিকিৎসক সংগঠনকে বৈঠকের ডাক দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। মনে করা হচ্ছে, অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের এই উদ্যোগ। সূত্রের খবর, চিকিৎসক সংগঠনগুলিকে ইমেল করে জানানো হয়েছে যে সোমবারের বৈঠকে ২ জন করে প্রতিনিধিকে আসতে হবে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বৈঠক হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, এর পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠনকেও মেল করেছেন মুখ্যসচিব। মঙ্গলবার, পুজো কার্নিভালের দিন 'দ্রোহের কার্নিভালে'র ডাক দেওয়ায় তাঁদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, এই কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে।
রবিবারই দেশজুড়ে ১২ ঘণ্টা প্রতীকী অনশনের কথা ঘোষণা করেছে আইএমএ। অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরাদের পাশে দাঁড়াতে মঙ্গলবার দেশের সমস্ত হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা এই কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এর পর সন্ধের দিকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ আইএনএ-সহ একাধিক চিকিৎসক সংগঠনকে ইমেল পাঠিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। মেলে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাস্থ্যভবনের ওই বৈঠকে সংগঠনগুলির তরফে ২ জন করে প্রতিনিধির উপস্থিতি কাম্য। কারা আসবেন, তা আগে মেল করে জানাতে হবে। যদিও কে বা কারা এই বৈঠকে থাকবেন, তা এখনও অজানা।
এর আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিপূরণের জন্য দফায় দফায় বৈঠক করেছে রাজ্য সরকার। একটি বৈঠকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁদের দাবিমতো হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা, পরিকাঠামোর উন্নতি-সহ কাজে সরকার এগোচ্ছে বলে দাবি নবান্নের। সেই সংক্রান্ত স্ট্যাটাস রিপোর্টও জুনিয়র ডাক্তারদের পাঠানো হয়েছে। এর পরও তাঁদের একাংশ আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ধর্মতলায়। তাঁদের সমর্থনে আইএমএ-র বড় পদক্ষেপ, মঙ্গলবার দেশজুড়ে প্রতীকী অনশন। সবমিলিয়ে আন্দোলনেক ঝাঁজ এবং বিশৃঙ্খলতা বাড়তে থাকায় আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান সূত্র খুঁজতে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব, এমনই মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, রবিবার জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টকেও একটি মেল পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। উৎসবের আবহে প্রতিবাদ জারি রাখতে তাঁরা পুজো কার্নিভালের দিন 'দ্রোহের কার্নিভালে'র ডাক দিয়েছেন। অনশনরত চিকিৎসকদের তরফে ওই দিন আলাদা কর্মসূচি রয়েছে। ইমেলে মুখ্যসচিবের আবেদন, পুজো কার্নিভালে দর্শকদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে যেন ওইদিন তাঁরা নিজেদের প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। এ বিষয়ে যদিও এখনও জুনিয়র চিকিৎসকদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।