শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: কোচিং থেকে একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল তিন ভাই। ফেরার পথে দোকান থেকে নিমকি খাওয়াই কাল হল তাদের। খাওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই হঠাৎ শুরু হয় বমি। অসুস্থ হয়ে পড়ে একই পরিবারের তিন শিশু। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় এক পড়ুয়ার। বাকি দুই শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। শনিবার দুপুরের এই ঘটনায় শোকের ছায়া উত্তর দিনাজপুরে।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের পন্ডিতপোতা (১) পঞ্চায়েতের গড়হণডাঙা এলাকার ঘটনা। অসুস্থ তিন জনকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকি দুই খুদে আশঙ্কজনক অবস্থায় শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি। মৃত শিশুর নাম আরমান রেজা (৬)। তিন শিশুই গড়হণডাঙ্গা প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র। বাকি অসুস্থ দুজনের বয়স ১০ ও ৮ বছর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইসলামপুর বিডিও রজতরঞ্জন দাস এবং ইসলামপুর থানার আইসি সন্দীপ চক্রবর্তী।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় আর কোনও গোশালা নয়! শহরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বড় সিদ্ধান্ত পুরসভার]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়হণডাঙা এলাকার বাসিন্দা পেশায় অটো চালক জামিল আক্তারের তিন ছেলে। এদিন দুপুরে রাস্তার দোকান থেকে ময়দার তৈরি বাসি নিমকি খায়। তার পরই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। বাকি দুই ভাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হামিদ আলম বলেন,”বাড়ি থেকে টিউশনে যাওয়ার পথে দোকানে নিমকি খায় তিনজনই। তারপর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।” অন্যদিকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপার সুরোজ সিনহা বলেন,”সম্ভবত খাবারে বিষক্রিয়া হয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে স্পষ্ট জানা যাবে।” পন্ডিতপোতা পঞ্চায়েতের সদস্য আসিরুদ্দিন বলেন,”কোথাকার খাবার খেয়ে মৃত্যু হল,তা তদন্ত করা প্রয়োজন।”