সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোবেল শান্তি পুরস্কার (Nobel Peace Prize) পেয়েছেন। কিন্তু সেই পুরস্কার গ্রহণ করতে পারবেন না। কারণ তাঁকে জেলে বন্দি করে রেখেছে মৌলবাদী শাসক। তবে শত রক্তচক্ষু সত্ত্বেও আটকে রাখা গেল না তাঁর কণ্ঠস্বর। নিজে উপস্থিত না থাকলেও নোবেল পুরস্কারের মঞ্চে শোনা যাবে তাঁর বক্তব্য। দুই সন্তানের মাধ্যমেই বিশ্বমঞ্চে নিজের কথা তুলে ধরবেন নোবেলজয়ী।
২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ইরানের (Iran) নার্গিস সাফি মহাম্মদি। নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়, সমাজের জন্য কাজ করতে বারবার ব্যক্তিগত জীবন দিয়ে মূল্য চোকাতে হয়েছে নার্গিসকে। ইরানের নিপীড়িত নারীদের স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন। সকলের মানবাধিকার রক্ষা করতেও প্রাণপন চেষ্টা চালিয়েছেন। সেই সংগ্রামকে সম্মান জানিয়েই নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতে। উল্লেখ্য, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবরও জেলে বসেই পেয়েছেন নার্গিস।
[আরও পড়ুন: ভোররাতে ফোনে দেখা করার ‘টোপ’, প্রেমিকের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিল যুবতী!]
৫১ বছর বয়সি এই সমাজকর্মীকে একাধিকবার হেনস্তা করেছে ইরানের প্রশাসন। সবমিলিয়ে মোট ১৩ বার গ্রেপ্তার হয়েছেন নার্গিস। পাঁচটি অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ইরানের আদালত। এখনও ১৫৪টি অভিযোগ রয়েছে নার্গিসের বিরুদ্ধে। আপাতত ৩১ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতেই রবিবার অসলোতে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে প্রাপকদের হাতে।
নার্গিসের হয়ে এদিন পুরস্কার নেবে তাঁর যমজ সন্তান আলি ও কিয়ানি। ১৭ বছরের দুই কিশোরই নোবেলের মঞ্চে মায়ের লেখা ভাষণ পড়ে শোনাবে। জেলের কড়া নজরদারি এড়িয়ে কোনওমতে তাদের কাছে নিজের ভাষণ পাঠিয়ে দিয়েছেন নার্গিস। আপাতত জেলেই অনশন শুরু করেছেন তিনি। কারণ হিজাবে মাথা ঢেকে হাসপাতালে যেতে রাজি নন ইরানের সাহসিনী।