সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ান (Taiwan) ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করল চিন। তিনদিন ধরে এই মহড়া চলবে বলে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকা (USA) সফরে গিয়েছিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। সেখানে হোয়াইট হাউসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠকের পরেই সামরিক মহড়ার ঘোষণা করে লাল ফৌজ। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার আমেরিকার মাটিতে হোয়াইট হাউসের (White House) স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাইওয়ানের কোনও প্রেসিডেন্ট।
তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের এই বৈঠকের তীব্র বিরোধিতা করে বার্তা দেয় চিন (China)। পালটা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই সামরিক মহড়া শুরুর ঘোষণা হয়। তাইওয়ান প্রণালীর আকাশসীমায় আগামী তিনদিন ধরে সামরিক মহড়া চলবে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যদিও চিনের দাবি, আগে থেকেই এই মহড়ার পরিকল্পনা ছিল। কোনও বাহ্যিক ঘটনার জবাব দিতে মহড়া শুরু হচ্ছে না। তাইওয়ান ঘিরে বন্দুক চালানোরও পরিকল্পনা রয়েছে চিনের।
[আরও পড়ুন: ‘রাজি থাকলে বিয়ে করতে পারি’, নাম না করে উর্বশীকে বিয়ের প্রস্তাব নাসিম শাহর!]
প্রসঙ্গত, মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেও সতর্কবার্তা দিতে সামরিক মহড়া শুরু করেছিল চিন। শুধু তাই নয়, চাপ তৈরি করতে লাগাতার স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে অনুপ্রবেশ করে চিনা যুদ্ধবিমান। যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করে ৫১টি যুদ্ধবিমান। শুধু তাই নয়, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়েছিল ছ’টি চিনা রণতরীও। পালটা, বেশ কয়েকটি ফাইটার জেট পাঠিয়ে কড়া বার্তা দেয় দ্বীপরাষ্ট্রটির সেনাবাহিনী।
তবে নতুন করে চিনের সামরিক মহড়া প্রসঙ্গে সেভাবে আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যায়নি তাইওয়ানকে। বেজিংয়ের ঘোষণার পর দ্বীপরাষ্ট্রের তরফে বলা হয়, শান্তভাবেই এই মহড়ার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা করবে তাইওয়ান। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনদিন কেটে গেলেও দীর্ঘমেয়াদি সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা রয়েছে লাল ফৌজের।