সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেন তেন প্রকারেণ তাইওয়ান দখল করতে মরিয়া চিন (China)। তবে মার্কিন ‘রক্ষাকবচ’ ভেদ করে সরাসরি সংঘাতে নামতে সাহস পাচ্ছে না কমিউনিস্ট দেশটি। তাই এবার তাইপেকে শায়েস্তা করতে ‘আনারস লড়াই’ শুরু করল বেজিং।
[আরও পড়ুন: মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরাতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে সেনাশাসকদের উদ্দেশে সাফ বার্তা ভারতের]
শুনতে হাস্যকর মনে হলেও এবার তাইওয়ান থেকে আনারস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চিন। মার্চের ১ তারিখ থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে। বেজিংয়ের দাবি, ২০২০ সালে তাইওয়ান থেকে আসা অনারসে এক ধরনের ক্ষতিকারক পোকা পাওয়া যায়। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ফলটির আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তাইপেই। দেশটির দাবি, আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করে অন্যায় করেছে চিন। বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ানের শাসকদল ‘ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি’কে বাগে আনতেই এই পদক্ষেপ করেছে শি জিনপিং প্রশাসন। কারণ দেশটির বর্তমান সরকার চিনের কট্টর বিরোধী। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বারবার বার্তা দিয়েছেন যে তাইওয়ান স্বাধীন দেশ। চিনের আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না। তাই এবার বাণিজ্যিক লড়াই শুরু করেছে বেজিং।
উল্লেখ্য, বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। তবে বেজিংয়ে (Beijing) ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। তারপর থেকেই আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছে দেশটি। লালফৌজের হামলা ঠেকাতে সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক হাতিয়ারে সাজিয়ে তুলছে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে সমুদ্রেই চিনকে রুখে দিতে এবার দেশেই অত্যাধুনিক সাবমেরিন বাহিনী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। বর্তমানে তাইওয়ানের কাছে যে ডুবোজাহাজগুলি আছে সেগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের। এই মর্মে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন আগেই বলেছিলেন, “সাবমেরিন বাহিনী তৈরি করে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই যে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনও আপোস করবে না তাইওয়ান।”