সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের শিক্ষকের দেওয়া হোমওয়ার্ক হয়নি। এই অবস্থায় যাতে করে স্কুলে না যেতে হয়, তার জন্য বাবা মেরেছে বলে থানায় অভিযোগ করল এক খুদে। এমন ঘটনায় চমকে যান পুলিশ আধিকারিকরা। যদিও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি তদন্ত নামে পুলিশ। শিশুর বাড়িতেও হাজির হন পুলিশকর্মীরা। তার পরেই অবশ্য পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায়। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে শিশুর আজব ‘কীর্তি’।
ঘটনাটি চিনের (China) ঝেজিয়াং প্রদেশের। সেখানকার বাসিন্দা ৭ বছরের শিশু পুলিশে ফোন করে জানায়, বাবা খুব মেরেছে। শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে ঠিকানা জেনে শিশুর বাড়িতে হাজির হন পুলিশকর্মীরা। তবে শিশুটিকে দেখামাত্র অভিযোগ নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশ আধিকারিকদের। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক পুলিশকর্মী শিশুটিকে জিজ্ঞেস করছেন, তুমি নিজে ফোন করেছিলে? কে মেরেছে তোমাকে? উত্তরে শিশুটি জানায় ‘বাবা’। এর পর পুলিশকর্মী শিশুর পিঠে হালকা চাপড় মেরে বলেন, এভাবে মেরেছে? খুদে ঘাড় নেড়ে বলে হ্যাঁ।
[আরও পড়ুন: ‘ইহুদি নিধনের মতোই..’, সনাতন ধর্ম মন্তব্যে স্ট্যালিনপুত্রকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা বিজেপির]
এর পর শিশুর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশকর্মীরা। যার পর তাঁরা বুঝতে পারেন স্কুলে যাওয়া এড়াতেই বাবা মেরেছে বলে থানায় ফোন করেছিল সে। যদিও সব বুঝেও শিশুকে বকাঝকা করেননি পুলিশকর্মীরা। বরং তাকে বুঝিয়ে হোমওয়ার্ক করান। এই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে চিনের সোশাল মিডিয়ায়। বহু নেটিজেন যেমন শিশুর কাণ্ডে অবাক হয়েছেন, তেমনই অনেকেই পুলিশকর্মীদের ঢালাও প্রশংসা করেছেন। যেভাবে তারা শিশুর সঙ্গে কথা বলে তাকে দিয়ে হোমওয়ার্ক করিয়েছেন, তার প্রশংসা করছেন সকলেই।