সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের আবহে তিব্বতে আণবিক, জৈবিক ও রাসায়নিক যুদ্ধের মহড়া চালাল চিন (China)। ফলে ভবিষ্যতে লালফৌজ যে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠতে চলেছে সেই ইঙ্গিতই মিলেছে বলে মত প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের।
[আরও পড়ুন: চিন থেকেই কি ছড়িয়েছে Corona? মুখ খুললেন ইউহানের ল্যাবের একমাত্র বিদেশি বিজ্ঞানী]
মঙ্গলবার লালফৌজের একটি নিউজ পোর্টাল জানায় যে গত নভেম্বর মাসে তিব্বতে মহড়া চালানো হয়। জানা গিয়েছে, ‘তিব্বত মিলিটারি রিজিয়ন’-এ এই সামরিক মহড়া হয়েছে ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ তথা চিনা সেনাবাহিনীর ‘ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডে’র তত্ত্বাবধানে। বলে রাখা ভাল, চিনের পাঁচটি থিয়েটার কমান্ডের মধ্যে ভারতের সঙ্গে সীমান্তের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড। লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করেছে ভারত ও চিন। তাই তিব্বতে এই মহড়া নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।
জানা গিয়েছে, লালফৌজের সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় কয়েক হাজার সেনা। কাল্পনিক শত্রুর বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালায় চিনা ফৌজের সশস্ত্র বাহিনী। শত্রুশিবির গুঁড়িয়ে দেওয়ার মহড়া চালায় সাঁজোয়া গাড়ি। তারপর গ্যাস মাস্ক ও বিশেষ পোশাক পরে আণবিক ও রাসায়নিক হামলা ব্যর্থ করার মহড়া চালায় চিনা বাহিনীর জওয়ানরা।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই জৈব যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত ভারতের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত। বলে রাখা ভাল, করোনা মহামারীর আবহে বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে একত্রে বিপর্যয় মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘PANEX 21’। ডিসেম্বর মাসের ২০ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত পুণেতে চলবে এই মহড়া। অংশ নেবে বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও থাইল্যান্ড। এই মহড়ার মাধ্যমে দেশগুলির সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলা হবে।
গত সপ্তাহে PANEX 21-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এক নতুন ধরনের যুদ্ধের উপর আলোকপাত করার কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, যদি জৈব যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে ফৌজের উচিত দেশকে বিভিন্ন জীবাণু ও মহামারীর হাত থেকে রক্ষা করা।