সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত সফরে এসে মার্কিন (US) সেনার প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ভারত-চিন সীমান্তে বেজিংয়ের সামরিক তোড়জোড় নিয়ে। জানিয়েছিলেন, সীমান্তে যে মাত্রায় যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করেছে লালফৌজ, তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তাঁর এহেন মন্তব্যে চটেছে চিন (China)। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান রীতিনতো ক্ষোভ উগরে জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য করে ওয়াশিংটন আগুনে ঘি ঢালছে।
বলে রাখা ভাল, গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) ভারত ও চিনা জওয়ানদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পরও লাদাখে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়ে চলেছে লালফৌজ। মিলিটারি কমান্ডার স্তরের আলোচনা চললেও বদলায়নি পরিস্থিতি। আর গোটা বিষয়ের উপর নজর রয়েছে বিশ্বের। স্বাভাবিক ভাবেই এতে অস্বস্তিতে পড়ছে চিন। বেজিংয়ের বক্তব্য, এই সমস্যা সমাধানে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকই একমাত্র পথ।
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভার ১৬ আসনে নির্বাচন, একাধিক রাজ্যে ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কায় কাঁটা বিরোধীরা]
ঝাও বলছেন, ”চিন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত ইস্যু নিয়ে যে সমস্যা, তার সমাধান করতে দুই পক্ষর মধ্যেই ইচ্ছা ও ক্ষমতা রয়েছে। অথচ কোনও কোনও মার্কিন আধিকারিক আগুনে ঘি ঢালতে চাইছেন। এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। আমরা আশা করব, ওরা নিজেদের আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকেই নজর দেবে।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দু’দিনের সফরে ভারতে আসেন জেনারেল ফ্লিন। ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে সামরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই ‘ড্রাগনে’র অভিসন্ধি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মার্কিন সেনার প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান। তাঁর বক্তব্য, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল চিনের (China) আগ্রাসী ব্যবহার পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে। ভারত সীমান্তে চিনের সামরিক তোড়জোড় উদ্বেগজনক।
এদিকে এই ইস্যু নিয়ে শুক্রবার টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি লিখেছেন, ”চিন কাঠামো তৈরি করছে ভবিষ্যতের হামলার জন্য। এটাকে অবহেলা করে সরকার দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।” এখন দেখার তাঁর এহেন আক্রমণের জবাবে মোদি সরকার কী জানায়।