সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে ‘ড্রাগন’। লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ, ক্রমেই আগ্রাসী হচ্ছে লালফৌজ। তবে শুধু সামরিকভাবেই নয়, ভারতকে ঘিরে ফেলতে অর্থনীতির ময়দানেও মোর্চা খুলেছে চিন (China)। আগেই চিনা ঋণের ফাঁদে পরে হাঁসফাঁস করছে শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। এবার আর্থিক সুবিধার টোপ দিয়ে বাংলাদেশকে কাছে টানতে চাইছে শি জিনপিংয়ের সরকার।
[আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জেলসে গ্রেপ্তার ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী তাহাউর হুসেন রানা]
লাদাখে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের আবহে, শুক্রবার বাংলাদেশের জন্য বিশেষ আর্থিক সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে চিন। ঢাকার মন পেতে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে চিনে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ৯৭ শতাংশকেই শুল্কমুক্ত করল বেজিং। জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে নতুন সিদ্ধান্তটি কার্যকর হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে নানা টানাপোড়েন সত্ত্বেও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পরীক্ষিত সুসম্পর্ক রয়েছে। যদিও সম্প্রতি রোহিঙ্গা ও তিস্তা জলবণ্টন ইস্যুতে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে কিছুটা টানাপোড়েন চলছে। বিশ্লেষকদের মতে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে চিন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ থেকে উত্তরে নেপাল, ভুটান ও মায়ানমার পর্যন্ত চিন জাল বিছিয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পড়ে এই মুহূর্তে রয়েছেন চিনপন্থী গোতাবায়া রাজাপক্ষে। গত নভেম্বর মাসে ভারতপন্থী রনিল বিক্রমসিংহের দল ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি’র প্রার্থী সজিথ প্রেমাদাসাকে হারিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে বসেন তিনি। নেপালেও চিনের পৌরহিত্যে ভারতপন্থী ‘নেপালি কংগ্রেস’কে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে কমিউনিস্ট কেপি ওলির সরকার। সে দেশে ঢুকছে প্রচুর চিনা টাকা। মায়ানমারেও প্রচুর বিনিয়োগ করছে বেজিং। ভুটানে রাজপরিবার ক্ষমতায় থাকার দরুন ততটা সফল না হলেও লাগাতার চাপ বাড়াচ্ছে চিন। সব মিলিয়ে ভারতকে ঘিরে ফেলতে প্রস্তুত পড়শি দেশ। তবে বিশ্লেষকদের মতে, চিন ভালই জানে সরাসরি যুদ্ধ লাগলে উপরোক্ত কোনও দেশই লড়াইয়ে সরাসরি অংশ নিতে সাহস করবে না। তাই পড়শি দেশগুলিকে দিয়ে সীমান্ত-সহ অন্যান্য ইস্যুতে বিবাদ উসকে নয়াদিল্লীকে লাগাতার বিব্রত করার চেষ্টা করে যাবে বেজিং।
[আরও পড়ুন: বেকায়দায় ‘ড্রাগন’, ভারতকে স্বস্তি দিয়ে চিনের বিরুদ্ধে বিল পাশ করল আমেরিকা]
The post ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে এবার বাংলাদেশকে কাছে টানছে চিন appeared first on Sangbad Pratidin.