সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল চিন। শুক্রবার সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পেলোসির তাইওয়ান (Taiwan) সফর চিনের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে। সেই কারণে ন্যান্সি পেলোসি এবং তাঁর পরিবারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে চিনের তরফে। তবে ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে, সেই তথ্য প্রকাশ করেনি চিন। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে বেজিং।
চিনা (China) বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তাইওয়ান সফরে গিয়ে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন। চিনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখন্ডতাকে খাটো করে দেখা হয়েছে। তাই পেলোসি এবং তাঁর পরিবারের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে বেজিংয়ের তরফে।” চলতি বছর মার্চ মাসেই কয়েকজন মার্কিন নাগরিকের ভিসার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল চিন। মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে চিনের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা প্রচার’ করার শাস্তি হিসাবে এহেন পদক্ষেপ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের নাইট ক্লাব যেন জতুগৃহ! জ্বলন্ত শরীরেরই দৌড় বহু মানুষের, মৃত অন্তত ১৩]
প্রাক্তন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও থেকে শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যিক উপদেষ্টা- চিনা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা মার্কিন নাগরিকের সংখ্যা প্রচুর। চিনা সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখতে পারেন না তাঁরা। এমনকি চিনে প্রবেশাধিকারও নেই তাঁদের। ন্যান্সি পেলোসির ক্ষেত্রে কী অবস্থান নেয় চিন, সেদিকে নজর থাকবে আন্তর্জাতিক মহলের।
তাইওয়ান ভূখণ্ডকে নিজেদের অখণ্ড অংশ বলে মনে করে চিন। বারবার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে ওই ভূখণ্ড অধিকার করার কথা বলেছেন চিনা নেতারা। সেই কারণেই ন্যান্সি পেলোসির সফরের ফল ভুগতে হবে বলে তাইওয়ানকে হুমকি দিয়েছিল বেজিং। পেলোসি বিদায় নেওয়ার পরেই তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চিন। এমনকি জাপানের সমুদ্রেও আছড়ে পড়ে চিনা মিসাইল। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত উত্তপ্ত ওই অঞ্চল।