সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালে ফের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ও শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টির যুগ্ম সভাপতি পুষ্পকুমার দহল ওরফে প্রচণ্ডের সঙ্গে তুমুল বিবাদ লেগেছে। প্রচণ্ডের পাশাপাশি নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই ওলিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে চাইছেন। আর এই সুযোগে ওলিকে মদত দিয়ে ভারত বিরোধী কাজকর্ম চালানোর চেষ্টা করছে চিনের শি জিনপিং প্রশাসন।
নেপালের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর একটার সময় নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (Nepal Communist Party) -এর সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক ছিল। সেখানে পাঁচ জন সদস্য নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকুমার দহল (Pushpa Kamal Dahal) ওরফে প্রচণ্ড, মাধব নেপাল, ঝাল নাথ কানাল, বামদেব গৌতম এবং নার কাজি শ্রেষ্টা উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু, মন্ত্রিসভার বৈঠকের অজুহাতে তাতে হাজির হয়নি নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও শাসকদলের যুগ্ম সভাপতি কেপি শর্মা ওলি, বিষ্ণু পোড়েল, ঈশ্বর পোখরেল এবং রাম বাহাদুর থাপা। এর ফলে বৈঠক ভেস্তে যায়। ১০ দিন বাদে ফের ওই বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বালোচিস্তানে খতম কুলভূষণ যাদবকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া ইরানের শীর্ষ জঙ্গি]
সূত্রের খবর, এর আগে হওয়া সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে ওলির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন প্রচণ্ড। তাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে ওলি প্রশাসন। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ চিন (China) যেভাবে নেপালের জমি দখল করছে বলে অভিযোগ উঠছে তাও খতিয়ে দেখছেন না। উলটে ভারত বিরোধী কাজকর্ম করে প্রয়োজনের সময়ে পাশে থাকা বন্ধুর ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। এর ফলে দলের পাশাপাশি নেপালের ঐতিহ্যের ক্ষতি হচ্ছে। তাই কেপি শর্মা ওলিকে প্রধানমন্ত্রী আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।
নেপালের শাসকদল সূত্রে খবর, প্রচণ্ডের এই লিখিত অভিযোগের কারণেই বুধবারের বৈঠক বাতিল করেন ওলি। শুধু তাই নয়, শাসকদলের বিবাদের বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের বাসভবনে নেপালে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত হাউ ইয়াাঙ্কির সঙ্গে ২ ঘণ্টার বৈঠকও করেছেন তিনি। যার ফলে ফের নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।