সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই হংকংয়ের (Hong Kong) গণতন্ত্রকামীদের উপর বাড়ছে চিনের অত্যাচার। বুধবার স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটি থেকে তাইওয়ান পালানোর চেষ্টার ‘অপরাধে’ ১০ জন প্রতিবাদীকে জেলের সাজা শোনাল চিনের এক আদালত।
[আরও পড়ুন: ইমরান বিরোধিতার ফল! আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী]
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, গত আগস্ট মাসের ১০ তারিখ একটি নৌকায় করে তাইওয়ান পালানোর সময় ওই দশজনকে গ্রেপ্তার করে চিনা উপকূলরক্ষী বাহিনী। তারপর মামলা শেষে ধৃতদের জেলের সাজা শুনিয়েছে চিনের দক্ষিণে অবস্থিত শেনঝেন শহরের আদালত। এর মধ্যে গণতন্ত্রকামীদের অন্যতম মুখ তাং কাই-ইন ও কুইন মুনকে গোটা অভিযান পরিকল্পনা করার অপরাধে ৩ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকি আটজনকে সাত মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। বলে রাখা ভাল, হংকংয় নিয়ে শি জিনপিং প্রশাসনের নয়া নিরাপত্তা আইন বলবৎ হওয়ার পর থেকেই গণতন্ত্রকামীদের আশ্রয় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তাইপেই। আর এনিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বেজিং। বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে এসেছে চিন। প্রসঙ্গত, সদ্য বেজিংয়ের উৎকন্ঠা বাড়িয়ে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী ধনকুবের জিমি লাই। একটি দুর্নীতি মামলায় ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে পুলিশ হেফাজতে ছিলেন ৭৩ বছর বয়সের লাই। বরাবরই বেজিংয়ের স্বৈরচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ‘Next Digital’ মিডিয়া সংস্থার কর্ণধার।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রতিবাদ হেলায় উড়িয়ে হংকং নিয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল পাশ করে চিন। বিতর্ক উপেক্ষা করেই ‘National security legislation for Hong Kong’ শীর্ষক বিলটিতে সই করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর ফলে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটির উপর বেজিংয়ের রাশ আরও মজবুত হয়েছে। তারপরই চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে হংকংয়ের (Hong Kong) ৩০ লক্ষ বাসিন্দাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ব্রিটেন। শুধু তাই নয়, সদ্য হংকংয়ের ‘চিনপন্থী’ প্রশাসক ক্যারি লাম-সহ ১০ জন উচ্চপদস্থ চিনা আধিকারিকের উপর ভ্রমণ ও আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে নিপীড়ন চালাচ্ছে বেজিং যার জেরে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।