সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার আকাশসীমায় চিনা (China) বেলুন নিয়ে প্রকাশ্য এল চাঞ্চল্যকর দাবি। বেলুনের ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে মার্কিন গোয়েন্দারা নিশ্চিত, গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যেই এই বেলুন (Spy Balloon) পাঠিয়েছিল চিন। তাঁদের মতে, খুব পুরনো দিনের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েছে বেজিং। তবে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অব্যর্থ ভাবে গুপ্তচরবৃত্তির উপায় খুঁজে নিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, মার্কিন গোয়েন্দারা আরও দাবি করেছেন, এই বেলুন নিয়ে ভারতেও নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা ছিল চিনের।
আটলান্টিক মহাসাগরে গুলি করে নামানো হয়েছে চিনা বেলুনটিকে। তারপরেই বেলুনের ধ্বংসাবশেষ খতিয়ে দেখছেন মার্কিন (USA) গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, প্রায় ২০০ ফুট লম্বা এই বেলুন। চিনের দাবি ছিল , আবহাওয়ার পরীক্ষা করতেই এই বেলুন তৈরি হয়েছে। কিন্তু ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া যন্ত্রপাতি থেকে মার্কিন গোয়েন্দারা নিশ্চিত, আমেরিকা থেকে জরুরি গোপন তথ্য জোগাড় করতেই এই বেলুন পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: ১০ দিনের আলোচনাতেও কাটল না জট, সাহায্যে নারাজ IMF, আরও অন্ধকারে পাকিস্তান]
মার্কিন গোয়েন্দাদের আরও দাবি, এই প্রথমবার নয়। আগেও একাধিকবার আমেরিকার আকাশসীমায় এই বেলুন দেখা গিয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইউএফও বলে উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তবে এবার মাটি থেকে অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতায় বেলুনটি দেখা গিয়েছিল, তাই সেটিকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা গিয়েছে।
অন্যদিকে চিনের দাবি, এই বেলুন আসলে তাদের সম্পত্তি। তাই বেলুনের ধ্বংসাবশেষও তাদের হাতেই তুলে দিতে হবে। আরও জানা গিয়েছে, সম্ভবত ভারতের আকাশসীমা পেরিয়েও ঢুকেছিল চিনা বেলুন। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে আন্দামান (Andaman) সংলগ্ন এলাকায় বেলুন দেখা গিয়েছে। তবে সেই সময়ে কারোওর মনে সন্দেহ জাগেনি। বর্তমানে চিনা গুপ্তচর বেলুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি ভারত থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করেছে চিন?