সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে (China) ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত (India), এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ (United Nations)। কিন্তু সেই রিপোর্টকে গুরুত্ব দিতে নারাজ চিন। সেদেশের দাবি, এখনও চিনে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। জনসংখ্যা বাড়াটা কোনও কৃতিত্বের বিষয় নয়, বরং কর্মক্ষম জনতার সংখ্যা বাড়লেই সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বুধবার জনসংখ্যার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। তারপরেই রিপোর্ট নিয়ে বিবৃতি দেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। তিনি বলেন, “আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই, জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়া দরকার। এখন চিনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লক্ষ। তার মধ্যে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ৯০ কোটি। আগামী দিনেও আমাদের দেশের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে দেশের জনসংখ্যা।”
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলে কোনওদিন ছিলাম না, বিজেপির হয়েই কাজ করতে চাই’, দাবি মুকুল রায়ের]
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই বৃদ্ধ জনতার সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে চিনে। বাধ্য হয়ে তিন সন্তানের নীতি চালু করেছে সেদেশের সরকার। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চিনা প্রিমিয়ার লি কিয়াংয়ের পদক্ষেপের বিষয়টিও তুলে ধরেন চিনা মুখপাত্র। তিনি বলেন, ২৪ কোটি চিনা নাগরিক উচ্চশিক্ষিত ও কর্মক্ষম। আগামী দিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই চিনা প্রশাসনের অনুমান। যদিও গত এক বছরে চিনে সন্তান জন্মের পরিমাণ সাড়ে ৮ লক্ষ কমে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বেজিং।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের সমীক্ষার দাবি বর্তমানে চিনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লক্ষ। সেখানে ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লক্ষ। ১৯৫০ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জনসংখ্যা সমীক্ষা শুরু করেছে রাষ্ট্রসংঘ। গত বাহাত্তর বছরে প্রথমবার বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেল ভারত। যা দীর্ঘদিন যাবৎ ছিল চিনের দখলে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা মোতাবেক বিশ্বের তৃতীয় জনবহুল দেশ আমেরিকা (USA)। সেখানে জনসংখ্যা ৩৪ কোটি।