সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা তথ্য গোপন করেছে, বিপদ বাড়িয়েছে গোটা বিশ্বের – এধরনের লাগাতার অভিযোগের তিরে বিদ্ধ চিন। প্রবল চাপে পড়ে এবার করোনার আবির্ভাব নিয়ে রীতিমত শ্বেতপত্র প্রকাশ করল জিনপিং সরকার। জানাল, জানুয়ারি নয়, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই সংক্রমণ শুরু হয়, আর জানুয়ারির দ্বিতীয় ভাগে মহামারির আকার নেয় COVID-19.
রবিবারই জিনপিং সরকার শ্বেতপত্রটি প্রকাশ করেছে। তাতে উল্লেখ, ২০১৯এর ডিসেম্বরের ২৭ তারিখ প্রথম বোঝা যায় যে, নিউমোনিয়া ইউহানের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। তখনও ভাইরাসের পরিচয় বোঝা যায়নি। তাই উপসর্গগুলিকে স্রেফ নিউমোনিয়া বলে ভাবা হয়েছিল। তবে খটকা লেগেছিল, সংক্রমণের প্রকৃতি দেখে। সাধারণ নিউমোনিয়া তো এভাবে ছড়ায় না। একই রকম উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হচ্ছিলেন অনেকেই। সবটা স্পষ্টভাবে বুঝতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে প্রশাসন। পাশাপাশি বাড়ানো হয় সতর্কতাও।
[আরও পড়ুন: ‘তাড়াহুড়ো নয়, ধীরে ধীরে লকডাউন উঠলেই অর্থনীতির পক্ষে মঙ্গল’, বলছে সমীক্ষা]
১৯ জানুয়ারি বিশেষজ্ঞ কমিটি জানায় যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের গতি অতি দ্রুত। ফলে তা রোখা সম্ভব হচ্ছে না। শ্বেতপত্রে আরও উল্লেখ, ইউহানে ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, স্থানীয় মার্কেট অর্থাৎ সামুদ্রিক খাদ্যপণ্যের বাজারে যে তাঁরা সকলেই গিয়েছিলেন, এমন কোনও শক্তপোক্ত প্রমাণ মেলেনি। তাই সামুদ্রিক প্রাণী অথবা বাদুড়, প্যাঙ্গোলিন থেকেই যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে, তা বলা যায় না।
[আরও পড়ুন: বাড়ি অপরিষ্কার রাখলেই জেল, ফরমান উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিমের]
বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের নেপথ্যে কখনও ইউহানের সামুদ্রিক পণ্যের বাজার তো কখনও ইউহানের ল্যাবে তৈরি জৈব মারণাস্ত্রকে দায়ী করা হয়েছে। এনিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে। তবে চিনের প্রকাশিত শ্বেতপত্রে দুই সম্ভাবনার কোনওটিকেই তেমন আমল দেওয়া হল না।
The post কবে থেকে করোনার হানা, চাপে পড়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানাল চিন appeared first on Sangbad Pratidin.