সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে স্পষ্ট জনমত পেয়েছেন জো বিডেন (Joe Biden)। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়তে নারাজ বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জনতার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রিপাবলিকান শিবির। তাই পরিস্থিতির উপর নজর রেখে এখনই বিডেনের জয়কে স্বীকৃতি দিতে নারাজ চিন ও রাশিয়া।
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি খারিজ করবেন না, বিডেনকে অনুরোধ তালিবানের]
সোমবার চিন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে এখনও ভাগ্য নির্ধারণ হয়নি। ভোটগণনা চলছে। সেকারণেই বিডেনের জয়ে সিলমোহর দেওয়া সম্ভব নয়। একই কথা বলেছে রাশিয়াও। এদিন মস্কোর দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আইনি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সমস্যার সমাধান হওয়া ও জো বিডেনকে সরকারিভাবে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ঘোষণার পরেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁকে অভিনন্দন জানাবেন। কিন্তু ২০১৬ সালে ট্রাম্প (Donald Trump) জিততেই দ্রুত অভিনন্দন জানিয়েছিলেন পুতিন। এবার তার ব্যতিক্রম কেন? পুতিনের মুখপাত্রের সাফ জবাব, সেই সময়ের সঙ্গে এখনকার অনেক পার্থক্য রয়েছে।
নভেম্বরের ৩ তারিখ আমেরিকায় ভোটগ্রহণ শেষ হলেও স্পষ্ট রায় আসতে পেরিয়ে যায় প্রায় চারদিন। নাটকীয় নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ২৭০-এর ম্যাজিক ফিগার পার করে ফেলেন জো বিডেন। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জয়ী হওয়ার সঙ্গেই আমেরিকায় বয়ে যায় উচ্ছাসের বন্যা। পালটা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান ট্রাম্পপন্থীরা। কিন্তু, এখনও পরাজয় মানতে নারাজ ট্রাম্প। নিতে পারেন আইনি পদক্ষেপ। বিগত চার বছরে শুল্ক লড়াই থেকে শুরু করে করোনা-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। চিনকে লাগাতার তুলোধোনা করে এসেছেন ট্রাম্প। এহেন পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউস দখল করেছেন বিডেন। কিন্তু, তাতেও তাঁকে শুভেচ্ছা জানায়নি চিন। সোমবার সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, “আমরা দেখেছি নির্বাচনে বিডেনকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আমেরিকার আইন ও নিয়ম মেনে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নির্ধারিত হবে।”