সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় বিশ বছর পর আফগানিস্তানে (Afghanistan) অভিযান শেষ করেছে আমেরিকা। তবে তড়িঘড়ি ও ‘অপরিকল্পিত’ ভাবে সেনা প্রত্যাহারের জেরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে কোটি কোটি ডলার মূল্যের অত্যাধুনিক হাতিয়ার ফেলে এসেছে মার্কিন ফৌজ। আর তালিবানের মদতে সেই হাতিয়ার তৈরির প্রযুক্তি চুরি করছে রাশিয়া ও চিন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করেছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
[আরও পড়ুন: Afghanistan: ঘানির মতো পালাননি মাসুদ আহমেদ, রয়েছেন পঞ্জশিরেই, দাবি প্রতিরোধ বাহিনীর]
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার ও বন্ধু আফগানদের তালিবানের হাতে ছেড়ে আসায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঘরে ও বাইরে নীতিগত ব্যর্থতার অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। আফগানিস্তান ছাড়ার সময়, ব্ল্যাকহক, চিনুক হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কাবুল বিমানবন্দরে ফেলে আসে মার্কিন ফৌজ। মাজার-ই-শরিফ ও কান্দাহারেও মার্কিন সেনার বহু হাতিয়ার তালিবানের (Taliban) হাতে গিয়েছে। যদিও যুদ্ধবিমানগুলির প্রায় সবকটিকে অকেজো করে এসেছে মার্কিন সৈনিকরা। এহেন সময়ে বাইডেনের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে ট্রাম্প আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, তালিবানের মদতে চিন ও রাশিয়ার হাতে পড়েছে মার্কিন হাতিয়ারগুলি। সেগুলি তৈরির প্রযুক্তি ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর মাধ্যমে হাতিয়ে নেবে মস্কো ও বেজিং। অর্থাৎ, মার্কিন যুদ্ধাস্ত্রগুলি যন্ত্রাংশ খুলে সেই ডিজাইন মতো নিজের হাতিয়ার তৈরি করতে পারে তারা।
রবিবার ফক্স নিউজ-এ সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে বাইডেনের আফগান নীতিকে তুলোধনা করেন ট্রাম্প। আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি ফৌজ প্রত্যাহারের ফলে দেশের স্বার্থই ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “আমি হলফ করে বলতে পারি ইতিমধ্যেই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার চিন ও রাশিয়ার হাতে চলে গিয়েছে। এবং সেগুলিকে খুলে ফেলে প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা করছে তারা।”
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখল করে তালিবান। নতুন করে শুরু হয় অন্ধকার যুগের। তারপর থেকেই আশঙ্কিত গোটা বিশ্ব। তালিবানি তাণ্ডবের বীভৎস চেহারা সারা বিশ্বকে দেখতে হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে রাস্তায় উন্মত্তের মতো ছুটেছে সাধারণ মানুষ। বিশিষ্টরাও বাদ যাননি। তালিবানরা দেশ দখল করে নেওয়া পর প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন জাতীয় দলের এক ফুটবলার। কিন্তু প্লেন থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় নেট নাগরিকরা শিহরিত। এখনও ‘কাবুলিওয়ালার দেশে’র রুক্ষ মাটিতে রক্তের দাগ।