সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন যে ‘প্যালেস্টাইনপন্থী’ একথা সর্বজনবিদিত। আর সেই পক্ষপাত বজায় রেখে হামাস-ইজরায়েল সাম্প্রতিক সংঘর্ষেও নেতানিয়াহুর সেনার ভয়ংকর হামলার বিরোধিতা করত দেখা গিয়েছিল তাদের। কিন্তু এজন্য প্রবল সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় বেজিংকে। তার পরই এবার এই ইস্যুতে ডিগবাজি খেল জিনপিং প্রশাসন। জানিয়ে দিল, ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই ফোনে কথা বলেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে। আর সেই সময়ই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”প্রতিটা দেশেরই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তবে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবতা আইন মেনে ও নাগরিকদের রক্ষা করেই তা করতে হবে।”
এর আগে তাঁকেই বলতে শোনা গিয়েছিল, “আত্মরক্ষার নীতিকে ছাপিয়ে গিয়েছে ইজরায়েল (Israel)। গাজার আমজনতার উপর এই অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।” সেই অবস্থান থেকে সরে আসার এই পদক্ষেপ থেকে পরিষ্কার, সমালোচনার মুখেই অবস্থান বদলাল চিন। এমনিতে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে জেরুজালেমের সম্পর্ক বরাবরই উত্তপ্ত। আর তাই হামাসের (Hamas) হামলার কোনও নিন্দা শোনা যায়নি চিনের মুখে। কিন্তু এভাবে একদেশদর্শিতা দেখানোর ফলে লাগাতার সমালোচনা সইতে হচ্ছিল তাদের।
[আরও পড়ুন: ২ ইজরায়েলি পণবন্দিকে ছাড়ল হামাস, ‘মানবিক কারণ’, জানানো হল বিবৃতিতে]
উল্লেখ্য, গায়ের জোরে তিব্বত দখল করেছে যে চিন (China), তারা আদৌ ইজরায়েলকে জ্ঞান দেওয়ার যোগ্য কি না, তাও লাখ টাকার প্রশ্ন। মুখে দ্বিপাক্ষিক সমাধানের কথা বললেও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ- মধ্যপ্রাচ্যের দখলদারি নিয়ে বর্তমান যুদ্ধে যেভাবে জরিয়ে পড়ছে সুপার পাওয়ার রাশিয়া-চিন এবং আমেরিকা, তা গোটা পৃথিবীর জন্যই ভাল খবর নয়।