সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই ভয়াল ভূমিকম্পে মৃত্যুপুরী তিব্বত। রিখটার স্কেলে ৭.১ মাত্রায় কেঁপে উঠেছে নেপাল-তিব্বত সীমান্ত। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬। আহত ১৮৮। চিনা সংবাদমাধ্যমের দাবি, কেবল তিব্বতেই ৯৫ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। গুঁড়িয়ে গিয়েছে ৩ হাজার ৬০৯টি বাড়ি!
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমিলজি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি অনূভূত হয়। কম্পনের উৎসস্থল নেপাল-তিব্বত সীমান্তের কাছে শিজ্যাং। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পন হয় রিখটার স্কেলে ৭.১ মাত্রায়। চিনের পরিমাপে তা ৬.৮। এই কম্পনের প্রভাব পড়ে দিল্লি, বিহার-সহ উত্তর ভারতের বিরাট অংশে। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন আমজনতা।
একদিন পেরিয়ে গিয়েছে। চলছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু নেপালের সীমান্তের ওই অঞ্চলে তাপমাত্রা রয়েছে হিমাঙ্কেরও নিচে। এর মধ্যেই চিনা সেনা ধ্বংসস্তূপে আড়ালে থাকা প্রাণের খোঁজ চলছে। দিনের বেলাতেও তাপমাত্রা মাইনাস আট ডিগ্রিতে থাকছে। রাতে আরও নামছে তাপমাত্রা। ফলে এই প্রবল শৈত্য উদ্ধারকাজে প্রতিকূল হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাঁচশোর বেশি কর্মী সেখানে উপস্থিত রয়েছে। হাজির ১০৬টি অ্যাম্বুল্যান্স। তাঁবু, খাবার, জেনারেটর পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়। সারানো হচ্ছে ভেঙে যাওয়া রাস্তা।
এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিব্বতের টিংরি কাউন্টি। এখান থেকে মোটামুটি ৮০ কিমি দূরেই বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। এই গোটা অঞ্চলটাই ভূমিকম্পপ্রবণ। তাই এখানে ভূমিকম্পের আশঙ্কা বেশি থাকে সব সময়ই। গত শতাব্দী থেকে ধরলে বহু ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী এই অঞ্চল। আসলে ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেটের মধ্যে চলতে থাকা সংঘর্ষের জন্যই এমন পরিস্থিতি। এপ্রসঙ্গে বলা যায়, টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলেই হিমালয় পর্বতমালা গঠিত হয়েছে। কী এই টেকটনিক প্লেট? পৃথিবীর উপরিতলের ভূত্বক বা পাত তথা প্লেটকে টেকটনিক প্লেট বলা হয়। আর এক্ষেত্রে সেই প্লেটের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষই ঘটায় ভূকম্পন।