shono
Advertisement

‘কোনও দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না’, ‘নজরদারি’জাহাজ নিয়ে ভারতকে বার্তা চিনের

জাহাজ নিয়ে তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ উচিত নয়, এই বার্তাও দিল বেজিং।
Posted: 09:25 AM Aug 17, 2022Updated: 12:15 PM Aug 17, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপত্তি ছিল ভারতের। তথাপি মঙ্গলবার সকালে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হামবানটোটা বন্দরে নোঙর ফেলেছে চিনা (China) জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। চিনা ‘নজরদারি’ জাহাজ শ্রীলঙ্কার সমুদ্র উপকূলে নোঙর ফেলায় অসন্তুষ্ট দিল্লি (Delhi)। এর মধ্যেই চিনের তরফে এক বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হল, তাদের ‘উচ্চ প্রযুক্তির গবেষণা জাহাজ’ কোনও দেশের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাবে না। ফলে এই বিষয়ে তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপও উচিত নয়। তৃতীয়পক্ষ বলতে যে মূলত ভারতকেই বুঝিয়েছে চিন, তা স্পষ্ট।

Advertisement

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’ নির্বিঘ্নে হামবানটোটা বন্দরে নোঙর ফেলেছে। এই বিষয়ে সবরকম সাহায্য মিলেছে শ্রীলঙ্কার তরফে। এদিন দেশের জাহাজকে স্বাগত জানাতে বন্দরে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কায় চিনের রাষ্ট্রদূত। উল্লেখ্য, চিনের দেওয়া ঋণ শোধ করতে না পারায় ২০১৭ সালে হামবানটোটা বন্দরটিকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চিন। সেখানেই বিপদের আশঙ্কা। বন্দরটিকে কৌশলগতভাবে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে বলেই মনে করছে দিল্লি। এর মধ্যেই হাজির হয়েছে চিনা জাহাজ।

[আরও পড়ুন: ‘এটাই অমৃত মহোৎসব?’ বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি প্রসঙ্গে মোদিকে তোপ বিরোধীদের]

যদিও এদিন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, “আমি আবারও জোর দিয়ে জানাতে চাই, ইউয়ান ওয়াং ৫’ জাহাজের সামুদ্রিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলবে।” এরপরই নাম না করে ভারতের উদ্দেশে চিনা মুখপাত্রের বার্তা, “এটি কোনও দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে প্রভাবিত করবে না, অতএব তৃতীয় পক্ষের এই বিষয়ে নাক গলানো উচিত নয়।”

[আরও পড়ুন: বুস্টারে অনীহা, আগ্রহ বাড়াতে স্টেশন, ধর্মীয় স্থানে টিকাকরণ শিবির করার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর]

চিনের এই দাবি তথা স্পষ্ট বার্তার পরে ভারতের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয় সেটাই এখন দেখার। উল্লেখ্য, জাহাজটিকে গবেষণা ও সমীক্ষার কাজে ব্যবহার হবে বলে বেজিং দাবি করলেও, এর মাধ্যমে মূলত নজরদারির কাজ চালানো হবে বলেই মনে করছে ভারতের প্রতিরক্ষা মহল। আশঙ্কা, এই জাহাজে মজুত অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী সেন্সর ও রাডারের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর নজরারি চালাবে লালফৌজ। ভারতীয় ফৌজের ইউনিট ফর্মেশন, মিসাইল সাইট, যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের সুলুক সন্ধান পেতেই এই জাহাজ পাঠিয়েছে চিন। তাই কোনওমতেই এই জাহাজটিকে শ্রীলঙ্কা জায়গা দিক তা চাইছিল না নয়াদিল্লি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement