সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা চাইলেই যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে। তাইওয়ানকে হুমকি দিয়ে এই বার্তাই দেওয়া হল চিনের তরফে। গত এক সপ্তাহ থেকে তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে চক্কর কাটতে শুরু করেছে চিনের বোমারু ও জেট বিমানগুলি। এরপরই ওয়াশিংটনকে এই বিষয়ে বেজিংয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করার আবেদন জানিয়েছে তাইওয়ান (Taiwan) সরকার। আর তাতেই রুষ্ট হয়েছে ড্রাগন।
বৃহস্পতিবার এবিষয়ে চিনের (China) তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে বেজিংয়ের তরফে হুমকি দিয়ে জানানো হয়ছে, স্বাধীনতা মানে যুদ্ধ। নিজেদের ভূখণ্ডের বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। লালফৌজের সৈনিকরা এই ধরনের ঘটনার যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
[আরও পড়ুন: মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা! ফের কুলভূষণ যাদবকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দিতে চাইছে পাকিস্তান]
এপ্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র উ কিয়ান (Wu Qian) বলেন, ‘তাইওয়ানের অবৈধভাবে নির্বাচিত হওয়া সরকার ওই দ্বীপরাষ্ট্রকে স্বাধীন বলেই ঘোষণা করে এই এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু, চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিচিত ওই এলাকাকে কখনই অন্য হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব নয়। চিনের সরকার এই প্রচেষ্টা আটকানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করবে। সেই কারণেই দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তাইওয়ানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই অঙ্গ হিসেবে ওই এলাকায় তৎপর হয়ে উঠেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। বিদেশি মদতে তাইওয়ানের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্টের কোনও চেষ্টাই সফল হতে দেওয়া হবে না। যেসমস্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি স্বাধীনতার অর্জনের নামে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে নিজেদেরই পুড়তে হবে।’
চিনের এই হুমকির কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে তাইওয়ানের তরফেও। তাদের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, চিনের উচিত এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর এই নিয়ে চিন্তার সময় তারা যেন দ্বীপরাষ্ট্রের মানুষের আবেগকে কম শক্তিশালী না মনে করে। নিজেদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যেকোনও লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে তাইওয়ানের নাগরিকরা।