সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট দ্বীপরাষ্ট্র সলোমন দ্বীপপুঞ্জের (Solomon Islands) সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি করল চিন (China)। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনবিন একথা জানিয়েছেন। মার্কিন হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও এই চুক্তি ঘিরে নতুন করে আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে। দক্ষিণ প্যাসিফিক অঞ্চলে আধিপত্য বাড়াতেই চিন এমন পদক্ষেপ করল বলে মনে করা হচ্ছে।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানাচ্ছে, চিনের বিদেশমন্ত্রী ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জের বিদেশমন্ত্রী জেরেমিয়া মানেলের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যদিও চিনের বিবৃতিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, এই চুক্তি কোনও তৃতীয় দেশ বা অঞ্চলকে লক্ষ্য রেখে করা হচ্ছে না, তবুও চুক্তি ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। সোমবারই আমেরিকার তরফে এই চুক্তির খসড়া নিয়ে আপত্তি করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহেই ইউরোপ সফরে মোদি! যেতে পারেন তিন দেশে]
মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানাচ্ছেন, এই চুক্তির ফলে চিন সেদেশে চিনা সেনা মোতায়েন করতে পারে। যার ফলে ওই দ্বীপরাষ্ট্রে যেমন অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, পাশাপাশি এর মাধ্যমে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার অন্য দেশেও আধিপত্য বিস্তারে নতুন উদ্যোগ নিতে পারে চিন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই চুক্তি ঘিরে আশঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছিল। আসলে ওই চুক্তির একটি খসড়া ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরেই উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছিল। সেই খসড়ায় ইঙ্গিত ছিল, এর ফলে সেখানে যুদ্ধজাহাজ-সহ সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে পারে বেজিং। দক্ষিণ চিন সাগরে ২০টি সামরিক উপস্থিতি তৈরি করে ফেলেছে বেজিং। একই ভাবে তারা এবার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলির ক্ষেত্রেও এগতে চাইছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
[আরও পড়ুন: ‘সত্যিকারের দেশভক্ত’, জয়শংকরকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী]
ইতিমধ্যেই আমেরিকার পাশাপাশি নিউ জিল্যান্ডও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই চুক্তি নিয়ে। এই সপ্তাহেই দুই উচ্চপদস্থ মার্কিন আধিকারিক সলোমনে আসার কথা। মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর তাদের ঘোষণায় এমনটাই জানিয়েছে। কিন্তু তার আগেই এই চুক্তি স্বাক্ষর করল চিন। তবে আমেরিকাও সেখানে মার্কিন দূতাবাস খুলতে পারে। যা থেকে পরিষ্কার, সেখানে প্রভাব বাড়াতে চাইছে ওয়াশিংটনও। তবে চুক্তি স্বাক্ষরের পরে তা কতটা সম্ভব হবে সেটাই এখন দেখার।