সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে চিন (China) ও আমেরিকার (America) মধ্যে টানাপোড়েন তুঙ্গে। একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে দুই দেশই। সম্প্রতি, চিন থেকেই করোনা ছড়িয়েছে বলে ইঙ্গিতে অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। এবার পালটা দিয়ে বেজিংয়ের জবাব, আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ‘কালো ইতিহাস’ সবার জানা।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় চতুর্থবার ক্ষমতায় বাশার আল আসাদ, নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ আখ্যা বিরোধীদের]
বুধবার করোনার উৎস নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে তদন্তের নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। চিনের গবেষণাগারেই কি তৈরি করা হয়েছে এই সংক্রামক ভাইরাসটি? এ নিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেন বাইডেন (Joe Biden)। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল আশঙ্কা করছিল, ট্রাম্প পরবর্তী সময়েও চিন-আমেরিকার দ্বন্দ্বের পারদ ফের চড়তে শুরু করবে। এবার সেই আশঙ্কা সত্যি করে ফের মুখোমুখি দুই দেশ। বৃহস্পতিবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান কড়া সমালোচনার সুরে বলেন, “বাইডেন প্রশাসনের উদ্দেশ্য সবার কাছে স্পষ্ট। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কালো ইতিহাস গোটা বিশ্বের জানা আছে।” বলে রাখা ভাল, সাদ্দাম হুসেনের কাছে জৈব, রাসায়নিক ও আণবিক হাতিয়ার থাকার অজুহাতে ইরাকে মার্কিন হামলার বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেন লিজিয়ান।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার করোনা মোকাবিলায় হোয়াইট হাউসের প্রবীণ উপদেষ্টা অ্যান্ডি স্লাভিত বলেন, “এই গোটা ঘটনার গোড়ায় যেতে হবে। ভাইরাসটির উৎস সন্ধানে চিন থেকে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতার প্রয়োজন। তবে এমনটা আদৌ হচ্ছে বলে আমরা মনে করি না।” একই বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফাউচি বলেছিলেন, “আমরা মনে করি এই বিষয়ে (করোনার ভাইরাসের উৎস) তদন্ত চালিয়ে যাওয়া উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তের পর এবার পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়ার সময় এসেছে। কারণ ভাইরাসটির উৎস নিয়ে আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে পারিনি। তাই তদন্ত চালিয়ে যাওয়া জরুরি।”