সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চিনে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে মারণ করোনা ভাইরাস। চলতি সপ্তাহেই সে দেশে একদিনে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ। একদিনে সংক্রমিতের নিরিখে এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে এটাই রেকর্ড। প্রায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন ৫০০০ মানুষ। ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এই বিপর্যস্ত চিন। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ রুখতে বিমানবন্দরে বিদেশি যাত্রীদের ব়্য়ানডম টেস্ট করা হবে। পাশাপাশি করোনা নিয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য বৈঠকে বসতে চলেছে প্রেসিডেন্ট জিনপিং।
করোনা (Coronavirus) নিয়ে চিনের সরকারি রিপোর্ট যে পুরোপুরি মিথ্যা তা প্রমাণ হল আবার। চিনের দাবি অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সে দেশে একদিনে সর্বাধিক ৩,০৪৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। গত দু’দিন জিনপিংয়ের দেশে (China) কারও করোনায় মৃত্যু হয়নি। অথচ বাস্তব দৃশ্য, পুরোপুরি উলটো। সাংহাই, বেজিংয়ের হাসপাতালে রোগী উপচে পড়ছে। হাসপাতালে বেড ও রক্তের জন্য হাহাকার করছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। মৃতদেহ সৎকারের জন্য লম্বা লাইন শেষকৃত্যের স্থানগুলিতে।
[আরও পড়ুন: ‘ঘুষের টাকা ফেরত দাও’, চাকরিহারাদের নিয়ে কালীঘাটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর]
ব্লুমবার্গ সংবাদমাধ্যমের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বুধবার জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বৈঠকের পর বেজিংয়ের এক শীর্ষ স্তরের স্বাস্থ্যকর্তা মারফত ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা গিয়েছে। মঙ্গলবারই এই রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমিতের ঘটনা ঘটে। আরও চমকে ওঠার মতো বিষয় হল, ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিনে প্রায় ২৪ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ করোনার (COVID-19) নতুন ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। চিন সরকার জিরো-কোভিড নীতি প্রত্যাহার করার পরেই সারা দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা।
দেশটির বিভিন্ন হাসাপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ার মুখে। তিন বছর আগে চিনে করোনা ভাইরাস প্রথম ছড়ায়। গত কয়েক মাস ধরে বেশ কিছু এলাকায় করোনার নতুন প্রজাতির দাপটে সংক্রমণ বাড়ে। বিজ্ঞানীরা তখনই দাবি করেছিলেন, আগামী কয়েক মাসেই লক্ষাধিক চিনের নাগরিক করোনা আক্রান্ত হবে। মৃত্যুও হবে কয়েক লাখ। স্বাভাবিক ভাবে করোনা আতঙ্ক বাড়ছে বিশ্বজুড়ে।