সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে (Myanmar) জুন্টার পাশে চিন। মায়ানমারের সেনার হাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ তুলে দিতে চলেছে বেজিং (Bejing)। যদিও দাবি, দেশের ২১টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ব্যয় হবে এই অর্থ। সে কথা অবশ্য মানতে নারাজ ওয়াকিবহাল মহল।
বৃহস্পতিবারই মায়ানমারে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জুন্টার (Junta) একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়। চিনা দূতাবাসের ফেসবুক পেজে সেই মউ স্বাক্ষরের কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মায়ানমারের একাধিক প্রকল্পের জন্য ৬০ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করবে চিন (China)। খুব তাড়াতাড়ি সেই অর্থ জুন্টার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে বলে খবর। কোন কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ হবে সেই টাকা? প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে পশুদের টিকা, কৃষি, বিজ্ঞান, পর্যটন, বিপর্যয় মোকাবিলা ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক লেনদেনের মতো বিষয়।
[আরও পড়ুন: Aadhar কার্ডের ত্রুটি শোধরাতে চান? আগামী সপ্তাহেই মেগা সেন্টার চালু করছে কলকাতা পুরসভা]
তবে এই মউ স্বাক্ষরের পর থেকেই চিন্তা বেড়েছে মায়ানমারবাসীর। জুন্টার নির্মম অত্যাচারের জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রগুলি তাদের নিন্দা করেছে। এমনকী, মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানোর পরামর্শ দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে আর্থিক সাহায্যের মউ স্বাক্ষর করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি সেনার হাতে অর্থের জোগান আসায় তাদের পক্ষে সুবিধাই হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে মায়ানমারে জুন্টার উত্থানের পিছনে চিনের হাত রয়েছে বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। আম্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের কথায়, ভারতের সঙ্গে সু কি সরকারের ঘনিষ্ঠতা ছিল। দুদেশের মধ্যে সৌহৃাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই সময় মায়ানমারে বিনিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছিল চিন। গত কয়েক মাসে পরিস্থিতি বদল হয়েছে। সু কি সরকারের পতনের পর ক্ষমতা দখল করেছে জুন্টা। তার পর থেকেই ফের মায়ানমারে বিনিয়োগ শুরু করল বেজিং। তা চিন্তা বাড়াবে ভারতেরও।