সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে চাপের মুখে নতিস্বীকার করল চিন। শুক্রবার গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ফৌজের হাতে নিকেশ লালফৌজের চার সৈনিকের নাম প্রকাশ করল চিন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই প্রথম গালওয়ানে চিনা জওয়ানদের হতাহত হওয়ার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করল বেজিং।
[আরও পড়ুন: ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়নি ভারত, জানিয়ে দিল নৌসেনা]
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস সূত্রে খবর, কারাকোরাম পর্বতমালায় মোতায়েন মোট ৪ সামরিক বাহিনীর আধিকারিকের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে চিনের ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন’। ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায়’ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ হারানো ওই সৈনিকদের শহিদের স্বীকৃতি দিয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি। ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গালওয়ানে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন জিনজিয়াং মিলিটারি কমান্ডের রেজিমেন্টাল কমান্ডের কুই ফাবাও। ‘দেশের সীমানা রক্ষায়’ সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ার জন্য তাঁকে ‘হিরো রেজিমেন্টাল কমান্ডার’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। নিহত চেন জিয়াংগ্রনগ, জিয়াউ সিইউয়ান ও ওয়াং ঝউরানকেও ‘ফার্স্ট ক্লাস মেরিট’ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে লালফৌজ। এর আগে মৃত সৈনিকদের নাম প্রকাশ না করায় দেশেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল শি জিনপিং প্রশাসনকে। তাই চাপের মুখেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
উল্লেখ্য, লাদাখে লালফৌজ আগ্রাসন চালালেও চিনা সংবাদমাধ্যমে ভারতকেই দোষারোপ করা হয়েছে। চিনের দাবি, আগে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় ফৌজ। তাই জবাবে পালটা আক্রমণ করা হয়। তাছাড়া, ওই সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যাও অনেক কমিয়ে দেখিয়েছে চিন। বাস্তবে গালওয়ানে অন্তত ৪৫ জন চিনা সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় সংস্থাগুলি মনে করছে। গত বছর থেকেই উত্তপ্ত লাদাখ (ladakh) সীমান্ত। কার্যত যুদ্ধের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত (India) ও চিন (China)। জুন মাসে গালওয়ান (Galwan) উপত্যকায় দু’দেশের সেনা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। ভারতের ২০ জন সেনা তাতে শহিদ হলেও, মোট কতজন চিনা সৈন্য ওই ঘটনায় হত হয়েছিলেন? তা কখনওই প্রকাশ্যে আনেনি বেজিং। কিন্তু কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, গালওয়ান সংঘর্ষে ৪৫ জন চিনা সৈন্য মারা গিয়েছেন। এই দাবির সঙ্গে অনেকটাই সহমত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও।