সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যদি তাইওয়ান (Taiwan) স্বাধীনতার লড়াই চালাতে চায় তাহলে তা কঠোর ভাবে দমন করা হবে। এভাবেই তাদের কড়া হুঁশিয়ারি দিল চিন (China)। বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে বেজিং। তবে চিনের মসনদে শি জিনপিং বসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। গত দু’বছরে ক্রমশ বেড়েছে সেই অস্থিরতা। আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিল চিনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তরের নয়া বিবৃতি।
দপ্তরের মুখপাত্র মা শিয়াওগুয়াং সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ”যদি তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে, লালরেখা অতিক্রম করে তাহলে আমরা অবশ্যই কড়া পদক্ষেপ করব।” চিনের এই হুঁশিয়ারির পালটা দিয়েছে তাইওয়ান। তাদের জবাব, চিন যেন বুঝেসুনে সঠিক ভাবে পদক্ষেপ করে।
[আরও পড়ুন: Omicron: ‘ওমিক্রন সুনামিতে ভেঙে পড়বে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’, আশঙ্কা WHO প্রধানের]
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চিনা আগ্রাসন নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিল তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেখানে বলা হয়, সামরিক মহড়ার নামে তাইওয়ানের জলসীমার কাছে কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হাজার হাজার ফৌজ মোতায়েন করতে পারে চিন। এবং সুযোগ বুঝে হামলা চালাতে পারে তারা। একইসঙ্গে, প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে নৌবহর পাঠিয়ে তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করতে পারে লালফৌজ। তারপর, আচমকা প্রচণ্ড মিসাইল হামলা চালিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটির সৈকতে নেমে আসতে পারে হাজার হাজার চিনা সেনা।
তবে আক্রমণ করলে চিনও যে বিপদে পড়তে পারে সেই কথাও জানিয়েছিল তাইওয়ান। হামলা শুরু করলেও হানাদার বাহিনীকে রসদ জোগান দেওয়া এই মুহূর্তে চিনের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ কৌশলগত জায়গাগুলিতে পালটা হামলার জন্য প্রস্তুতি তইওয়ানের ফৌজ। পাশাপাশি, লালফৌজের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছে আমেরিকা ও জাপান।
[আরও পড়ুন: হরিদ্বারে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিংসার বার্তায় উদ্বিগ্ন পাকিস্তান! তলব ভারতীয় কূটনীতিককে]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চ্যাং কয়েকদিন আগেই দাবি করেছিলেন যে ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটি দখল করতে প্রবল যুদ্ধ শুরু করবে চিন। পরিস্থিতি যে ক্রমশ সেই দিকেই যাচ্ছে, তা ফের যেন পরিষ্কার হল বেজিংয়ের সাম্প্রতিক হুঁশিয়ারিতে।